নিষিদ্ধ সিনেমা দেখতে দর্শকের ভিড়!

বিনোদন ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ২৬, ২০২১, ০৫:২৮ পিএম নিষিদ্ধ সিনেমা দেখতে দর্শকের ভিড়!

সিমলার নতুন সিনেমা দেখতে প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের ভিড়, এই শিরোনামটি হতে পারত । কিন্তু সেটা হয়নি। কারণ সেন্সর বোর্ডের কাছ থেকে ছাড়পত্র নয়, সিনেমাটি পেয়েছে নিষিদ্ধের তকমা। এর নাম ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’। এতে অভিনয় অভিনয় করেছেন সিমলা ও মামুন।

তরুণ নির্মাতা রুবেল আনুশ দীর্ঘ ৭ বছর ধরে নানা সংগ্রামের পর সিনেমাটির কাজ শেষ করেন। প্রথম থেকেই এটির নাম ছিল ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’। কিন্তু সেন্সর বোর্ডের আপত্তির কারণে মাঝে নাম বদলে রাখা হয় ‘প্রেম কাহন’। এরপরও সিনেমাটিকে নিষিদ্ধ করে বোর্ড।

 

এরপর আর কিছু না ভেবে ইউটিউবেই নিজের প্রথম সিনেমা মুক্তি দিয়ে দিলেন রুবেল আনুশ। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) লাইভ রেডিও নামক ইউটিউব চ্যানেলে সিনেমাটি উন্মুক্ত করা হয়। এরপরই দর্শকের ভিড় লেগেছে চ্যানেলটিতে। এরই মধ্যে ৭১ হাজারের বেশি ভিউ হয়েছে এতে। ধারণা করা হচ্ছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাড়িয়ে যাবে লাখের সীমানা।

পরিচালক আনুশ বলেন, ‘আশা তো ছিল সিনেমাটি মানুষদের সিনেমা হলে দেখাবো। এখন যেহেতু সেন্সর বোর্ডের বিজ্ঞ সদস্যরা ছাড়পত্র দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, তাই ইউটিউবে মুক্তি দিলাম। সেখানে যেভাবে দর্শকদের সাড়া পাচ্ছি, তা আমরা কেউই আশা করি নাই। আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়েছে সেন্সর বোর্ডের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে কোনো লাভ হবে না। আর আমরা ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কেউই সেন্সর ছাড়পত্র ছাড়া চালাতে রাজি নন। এই এই পন্থায় মুক্তি দিলাম।’

ইউটিউবে সিনেমাটি দেখে নানারকম মন্তব্য করছেন দর্শকরা। আলিফ নামে একজন দর্শক লিখেছেন, ‘অসাধারণ লেগেছে মুভিটা, আমাদের দেশে এত সুন্দর মুভি হবে ভাবতেই পারিনি। আগামীতে এরকম আরো হবে এই আশা করছি শুভকামনা রইলো। পরিচালক এবং এর সাথে জড়িত সবার জন্যে।’

মেহেদী হাসান জোয়ার্দার নামে আরেক দর্শক লিখেছেন, ‘আমি যখন ক্লাস সেভেনে পড়তাম, মানে ২০১৪ সাল থেকে এই নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প সিনেমাটি দেখতে উৎসুক ছিলাম। অবশেষে অপেক্ষার পালা শেষ হলো। ভালোবাসা ও অভিনন্দন টিমের জন্য।’

কিছুটা সমালোচনার সুরে তীর্থক আহসান লিখেন, ‘গল্প খুবই ভাল। এক গল্প থেকে আরেক গল্পে সুইচ করাটা খুবই স্মার্ট ছিল। সেন্সরবোর্ড কেটে দেয়া বোল্ড দৃশ্যগুলো কেটে দেয়ার কোন কারণ খুজেঁ পেলাম না। বেশ কিছু জায়গায় ক্যামেরার কাজ ভাল ছিল। কিছু জায়গায় মনে হয়েছে নাটকের ফ্রেমিং। কিন্তু ক্লোজ ট্রিটমেন্ট মূলত না থাকাটা অস্বস্তিকর ছিল। পারফরমারদের ইমোশন, এক্সপ্রেশন কিছুই বোঝা যায়নি। শুভকামনা নবীন এই নির্মাতাকে। আশা করছি আগামীতে আরো ভাল কাজ হবে।’ 

উল্লেখ্য, ‘নিষিদ্ধ প্রেমের গল্প’ প্রযোজনা করেছে আনুশ ফিল্মস। সহ-প্রযোজনায় রেড পিকচার্স। এতে সিমলা ও মামুন ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন মনিরা মিঠু, সোহেল খান, মোহাম্মদ সালমান, নোভাই নোভিয়া, মুনমুন আহমেদ মুন, আকাশ মেহেদি, একে আজাদ সেতু, শিমুল খান প্রমুখ।

এমইউ