‘বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়বে’

জাগরণ প্রতিবেদক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১, ০৫:২৬ পিএম ‘বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়বে’

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে বাংলাদেশ বর্হিবিশ্বে একটি প্রত্যয়ী ও মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে জায়গা করে নেবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ উপলক্ষে শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গণভবন থেকে অনলাইনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর হাতে জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশপত্র হস্তান্তর করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

শেখ হাসিনা বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র সাড়ে তিন বছরে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে টেনে তুলে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে নিয়ে গিয়েছিলেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে তারই হাতে গড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করল।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের আজকের এই অর্জন বিগত ১২ বছরের নিরলস পরিকল্পনা, পরিশ্রম ও প্রচেষ্টার ফসল। দেশের মানুষই এসব কাজ করে দিয়েছেন। আমরা শুধু সরকার থেকে নীতি-সহায়তা দিয়ে সুযোগ তৈরি করে দিয়েছি। সেই সঙ্গে আমরা সকলেই মিলিতভাবে কাজ করেছি।”

শেখ হাসিনা আরও বলেন, “আমাদের এই অর্জনকে সুসংহত ও টেকসই করতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অর্জন, ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে এটি আমাদের জন্য একটি বিশেষ ধাপ।”

সরকার প্রধান বলেন, “মাথাপিছু আয়, মানব সম্পদ ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা এই তিনটি সূচকের ভিত্তিতে জাতিসংঘ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের বিষয়টি পর্যালোচনা করে। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের তিনটি মানদণ্ডই খুব ভালোভাবে পূরণ করতে সক্ষম হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর আনুষ্ঠানিক ত্রিবার্ষিক পর্যালোচনা সভায় বাংলাদেশ পুনরায় সকল মানদণ্ড অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে পূরণের মাধ্যমে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করল।”

আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দারিদ্র, ক্ষুধা, নিরক্ষরতামুক্ত একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকার তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এক যুগ আগের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ কিন্তু এক নয়। আজকের বাংলাদেশ এক বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।”

খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ স্বয়ংসম্পূর্ণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন,“২০১৯-২০ অর্থবছরে দানাদার খাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ ছিল চার কোটি ৫৩ লাখ ৪৪ হাজার মে. টন। বাংলাদেশ বিশ্বে ধান উৎপাদনে তৃতীয় এবং মাছ, মাংস, ডিম, সবজি উৎপাদনেও স্বয়ংসম্পূর্ণ।”

সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরেক কন্যা শেখ রেহানা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এতে সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস।