বিচারতো আপনারই হওয়া উচিত, কিশোরের বাবাকে বিচারক

জাগরণ প্রতিবেদক প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২১, ১১:৪৪ এএম বিচারতো আপনারই হওয়া উচিত, কিশোরের বাবাকে বিচারক
সংগৃহীত ছবি

রাজধানীর বেইলি রোডে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে রিকশা গুঁড়িয়ে দেয়া কিশোরের বদলে তার বাবার শাস্তি হওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেছেন বিচারক।

সোমবার (২২ নভেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক আল মামুন এ আদেশ দেন।

এসময় রিকশা আরোহী চালক, আরোহী ও আরোহীর পাঁচ মাসের সন্তানকে আহত করার মামলায় পুলিশ কিশোরের রিমান্ড আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করা হয়। একইসাথে জামিন না দিয়ে গ্রেফতার ১৫ বছর বয়সী কিশোরকে সংশোধনাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

১৫ বছর বয়সী এই কিশোর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীর ছেলে। এর আগে তাকে আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়ার আবেদন করে পুলিশ।  কিশোরের পক্ষে তার বাবা তারজেল হোসেন জামিন আবেদন করেন।

দুই আবেদনই নাকচ করে কিশোরকে গাজীপুরের টঙ্গী কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দেন। এসময় বয়সের আগেই কিশোরের গাড়ি চালানোর বিষয়ে দায়িত্বহীন বাবাকে ভৎসর্না করেন বিচারক।

মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মগবাজার এলাকার বাসিন্দা শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তা ফখরুল হাসান তার পাঁচ মাসের শিশুপুত্রকে নিয়ে বের হন। তিনি একটি রিকশা নিয়ে মগবাজার থেকে বেইলি রোড হয়ে রমনা পার্কের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে বেইলি রোডে একটি বেপরোয়া গতির প্রাইভেটকার তাদের বহনকারী রিকশাকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে তাদের দুজনের সঙ্গে রিকশাচালক আনোয়ার ইসলামও গুরুতর আহত হন। ঘটনার পর জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল পেয়ে তিন জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ।

কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের দশম শ্রেণি পড়ুয়া ওই কিশোর পরদিন সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মাকে নিয়ে বাসে করে মেহেরপুরের গাংনীতে দাদার বাড়ি চলে যায়। সেখান থেকে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় খালার বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করে। পরে সংশ্লিষ্ট দুই থানা পুলিশের সহায়তা নিয়ে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগ পুলিশ কিশোরকে গ্রেফতার করে।

জাগরণ/এসএসকে