লাঞ্চের আগেই অলআউট টাইগাররা

ক্রীড়া ডেস্ক প্রকাশিত: নভেম্বর ২৭, ২০২১, ১২:১৭ পিএম লাঞ্চের আগেই অলআউট টাইগাররা

লিটন দাসের প্রথম সেঞ্চুরি ও মুশফিকুর রহিমের লড়াকু ফিফটিতে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে চালকের আসনে বসে থাকা বাংলাদেশ তাদের সেই দাপট ধরে রাখতে পারেনি। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ৬ উইকেট হারিয়ে তারা পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩৩০ রানে অলআউট হয়েছে। 

পেসার হাসান আলীর হাত ধরে দিনের দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট পায় সফরকারীরা। এলবিডব্লিউর সফল রিভিউয়ে লিটন দাসকে ফিরিয়ে ভাঙল ২০৬ রানের জুটি। ইনসুইং বলের লাইনে যেতে পারেননি লিটন। ব‍্যাটের কানা ফাঁকি দিয়ে লাগে পেছনের পায়ে। আম্পায়ার আউট না দিলে রিভিউ নেন অধিনায়ক বাবর আজম। বল ট্র‍্যাকিংয়ে দেখা যায়, লেগ স্টাম্পের উপরের দিকে লাগত বল। ২৩৩ বলে ১১ চার ও এক ছক্কায় ১১৪ রান করে ফেরেন লিটন। আগের দিনের রানের সঙ্গে কেবল একটি সিঙ্গেল যোগ করতে পারেন তিনি।

দীর্ঘ অপেক্ষার পর অভিষেক। এতো অপেক্ষার শুরুটা রাঙিয়ে রাখতে পারলেন না ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি। একটি চার মেরেই ফিরে গেলেন বোল্ড হয়ে। স্টাম্পে বল রাখা হাসান আলি বেশি ভোগাচ্ছেন বাংলাদেশের ব‍্যাটসম‍্যানদের। তার সুইংয়ের জন‍্য প্রায়ই বলের লাইনে যেতে পারছিলেন না ইয়াসির। সেটাই কাল হয় তার জন‍্য। ব‍্যাটের কানা এড়িয়ে উপড়ে ফেলে তার স্টাম্প।  ১৯ বলে এক চারে ইয়াসির করেন ৪।

দুই সঙ্গীর দ্রুত বিদায়ের পর আরও সাবধান হয়ে গিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। খেলছিলেন চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞায়। কিন্তু তিনিও দ্বিতীয় দিন যেতে পারলেন না বেশিদূর। ৮২ রান নিয়ে শুরু করা মুশফিক থামলেন ৯১ রানে।

টেস্টে এ নিয়ে চতুর্থবার নার্ভাস নাইন্টিজের শিকার হলেন মুশফিক। এর তিনটিই চট্টগ্রামের এই মাঠে! বাংলাদেশকে ভোগানো হাসান আলির জায়গায় আক্রমণে এসে মুশফিককে কট বিহাইন্ড করে থামান ফাহিম আশরাফ। আম্পায়ার আউট দিলে রিভিউ নেন এই মিডল অর্ডার ব‍্যাটসম‍্যান। তবে বল ব‍্যাট পেরিয়ে যাওয়ার সময় ও ব‍্যাট তার প‍্যাডে লাগার সময় একই হওয়ায় নিশ্চিত বোঝার উপায় ছিল না, শব্দের উৎস কি। আম্পায়ার আউট দেওয়ায় ফিরে যেতে হয় মুশফিককে। স্রেফ ১ রানের জন‍্য টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডে তামিমের পাশে বসতে পারলেন না তিনি। মুশফিকের ২২৫ বলের ইনিংস গড়া ১১ চারে।

একটা জুটি গড়ে উঠছিল মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামের মধ‍্যে। সেটা ভাঙতে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে আক্রমণে ফেরালেন বাবর আজম। কাজেও লাগল তার এই বদল। আফ্রিদির বলে কট বিহাইন্ড হয়ে গেলেন তাইজুল। আগের বলে বাউন্ডারি মেরেছিলেন বাঁহাতি এই ব‍্যাটসম‍্যান। তাই হয়ত একটু বেশিই আত্মবিশ্বাসী হয়ে গিয়েছিলেন। তাড়া করেন বেশ বাইরের বল। ঠিক মতো খেলতে পারেননি। প্রথম স্লিপে ঝাঁপিয় চমৎকার ক‍্যাচ নেন আব্দুল্লাহ শফিক। ভাঙে ৪৭ বল স্থায়ী ২৮ রানের জুটি।
১ চারে ২৮ বলে ১১ রান করেন তাইজুল। 

পরপর দুই বলে আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী ও ইবাদত হোসনকে বিদায় করে বাংলাদেশকে ৩৩০ রানে থামিয়ে দিলেন হাসান আলি। এদিন দারুণ বোলিং করা পেসার নিলেন পাঁচ উইকেট। শরীর তাক করে আসা বাউন্সার ঠিক মতো সামলাতে পারেননি আবু জায়েদ। ধরা পড়েন স্লিপে। দুই চারে ১৯ বলে তিনি করেন ৮। পরের বলে ইবাদতের স্টাম্প উপড়ে ফেলে ষষ্ঠবারের মতো টেস্টে পাঁচ উইকেট নেন হাসান।