• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ৪, ২০১৯, ০২:৪২ পিএম

বিমান-পর্যটনের দুর্নীতির বিষয়ে দুদকের প্রতিবেদন সারশূন্য

বিমান-পর্যটনের দুর্নীতির বিষয়ে দুদকের প্রতিবেদন সারশূন্য

 

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং পর্যটন করপোরেশনের দুর্নীতির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানী প্রতিবেদন সারশূন্য। এমন অভিমত জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তবে প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমে দুদকের দেয়া প্রতিবেদন অনুসরণ করবেন বলে জানিয়েছেন।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও পর্যটন করপোরেশনের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে দুদকের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন রোববার (৩ মার্চ) সচিবালয়ে দুদক কমশনার ড. মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক খান বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীর কাছে জমা দেন। এ প্রতিবেদনে বিমানের ৮ এবং বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও পর্যটনের ১১ খাতে দুর্নীতি চিন্হিত করা হয়েছে।

তবে দুদকের জমা দেয়া এই প্রতিবেদনে বিমান, বেবিচক এবং পর্যটনের কোন কোন খাতে কারা এসব দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তা উল্লেখ করা হয়নি। অভিযোগ রয়েছে, বিমানে ক্ষমতাধর বৃহৎ একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে বিমান ক্রয়সহ নানা খাতে দুর্নীতি করে আসছেন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে ফলাও করে সংবাদ প্রকাশিত হলেও সিন্ডিকেটের তৎপরতা অপ্রতিরোধ্যই থেকে গেছে।

দুদক কমিশনার ড. মোজাম্মেল হক খানের বিমান প্রতিমন্ত্রীর কাছে জমা দেয়া অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের বিষয়ে বিমান মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ এক কর্মকর্তা আজ (সোমবার) দৈনিক জাগরণকে বলেন, দুদকের জমা দেয়া অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটিতে দুর্নীতির খাত চিন্হীত করা হয়েছে। তবে এসব খাতে কারা দুর্নীতি করছেন, তাদের ক্ষমতার উৎস কী, তা চিন্হীত বা উল্লেখ করা হয়নি। দুদক কমিশনার অনুসন্ধানে নেমে কী-কারণে মুল বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন, তা বোধগম্য নয় এই কর্মকর্তার বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহাবুব আলী দৈনিক জাগরণকে বলেন, দুদকের এই প্রতিবেদন আগামীতে মন্ত্রণালয়ের নতুন কার্যক্রমে অনুসরণ করা হবে। আর কিছু না হোক, দুর্নীতি কোন কোন খাতে হয়, সে বিষয়ে একটি ধারণা তো পেয়েছি।

এসজেড