• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০১৯, ০৩:৪৪ পিএম

বাসে আগুন দিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা খেল চালক

বাসে আগুন দিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা খেল চালক


রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে বাসচাপায় শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় বিক্ষোভের সময় দুর্ঘটনা কবলিত বাসে আগুন দিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা খেল চালক।

চালককে শিক্ষার্থীরা গণধোলাই দিতে গেলে পুলিশ ও গোয়েন্দারা চালককে নিরাপদে স্থানে নিয়ে যায়। পুলিশ ওই চালকের নাম প্রকাশ করছে না। বর্তমানে আবরার আহমেদের ঘাতক বাসের চালক পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। 

জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলাকালে একটি বাসে আগুন দেওয়ার সময় এক বাসচালককে হাতেনাতে ধরে পিটুনি দেয় শিক্ষার্থীরা। প্রত্যক্ষদর্শী এক স্থানীয় জানান, সকাল থেকেই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। সকালের দিকে কিছু বাস এই এলাকা দিয়ে চলাচল করতে চাইলে তারা সেগুলোকে রাস্তায় আটকে দেন। বাসগুলো সেখানেই রাখা আছে। এর মধ্যে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ দাঁড়িয়ে থাকা ওই বাসগুলোর মধ্যে সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসে আগুন লাগাতে দেখা যায়। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরাই বাসে আগুন দিয়েছেন। এমন কথা বলা হলেও কিছুক্ষণের মধ্যেই এক ব্যক্তিকে শিক্ষার্থীরা ধরে ফেলে। এসময় তাকে পিটুনি দেয় শিক্ষার্থীরা।

এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা বলেন, ওই লোক একটি বাসের চালক। সে বাসে আগুন দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে কোনো বাসে কোনো ধরনের ভাঙচুরও করা হয়নি। পরে শিক্ষার্থীদেরই ওই বাসের আগুন নেভাতে দেখা যায়।

জানা গেছে, যমুনা ফিউচার পার্কের অদুরে সুপ্রভাত বাসের চাপায় বিইউপির শিক্ষাথী আবরার আহমেদ নিহতের জেরে সেখানে সড়ক অবরোধ করে রেখে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। তারা প্রগতি সরণি অবরোধ করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচার, ১১ দফা দাবিতে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’সহ বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করছেন।

এর আগে শিক্ষার্থীদের বহনকারী বিইউপির একটি বাস সকালে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে আবরার বাসে উঠতে যাচ্ছিলেন। এ সময় পাশে থাকা গাজীপুরগামী সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু ঘটে। এসময় শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৯ জুলাই রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে হোটেল র‌্যাডিসনের বিপরীত পাশের জিল্লুর রহমান উড়ালসড়কের ঢালের সামনের রাস্তায় জাবালে নূর পরিবহনের তিনটি বাসের রেষারেষিতে দুই জন শিক্ষার্থী নিহত হয়। এ ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠে রাজধানীসহ পুরো দেশ। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভের পাশাপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় শিক্ষার্থীরা। সেই সময় সড়কে প্রতিধ্বনিত হয় ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’।

দুপুর পৌনে তিনটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা তাদের দেয়া ১১ দফা না মানা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ ও অবস্থান এবং বিক্ষোভ করবেন বলে প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের জানিয়ে দেয়।

এইচএম/আরআই