দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পুরোটা না হলেও ৫০ ভাগ আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে গণমাধ্যমের কাছে  এ পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।

সচিব বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা শতভাগ না হলেও ৫০ ভাগ আসনে ইভিএম ব্যবহার করার জন্য এখন থেকেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, এখন থেকে সব সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা নির্বাচনের ভোট ইভিএমের মাধ্যমে নেয়া হবে। বিদ্যুৎ আছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো সেসব উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ বেছে বেছে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে। 

এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, যেহেতু আমরা ৩ হাজার ৮২৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা দেড় লাখ ইভিএম সংগ্রহ করেছি। এগুলোতো সংগ্রহ করে রাখার জন্য না। জাতীয় নির্বাচনের আগেই এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহেই এই প্রকল্পটা গ্রহণ করা হয়। সরকার বলেছে, সব জায়গায় প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনেও এটা ব্যবহার করা হোক। এতোগুলো ইভিএম কেনো আমরা ব্যবহার করবো না। প্রকল্প যখন আমরা নিয়েছি, এরইমধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিএমটিএফ এই মেশিনগুলো আমাদের সরবরাহ করেছে। এতোগুলো লোককে আমরা প্রশিক্ষিত করেছি, আমাদের প্রত্যেকটি ভোটগ্রহণ-কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি।

ইভিএম প্রসঙ্গে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি এখনও সিওর না, এটা আমাদের পরিকল্পনায় আছে। তার জন্য অবশ্যই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার দরকার আছে। যে কোনো নির্বাচনে আমরা এটা ব্যবহার করবো। প্রযুক্তি ব্যবহার করলে কয়েকটি বিষয় আসে, সেটি হলো দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়, বাংলাদেশে প্রচলিত যে অনিয়মগুলো হয়, সেটা আর হবে না, ভোটারদের আস্থাটা বাড়বে, ব্যালট পেপারের কাগজ সাশ্রয় হবে। কাল (বৃহস্পতিবার) থেকে ভারতে যে লোকসভা নির্বাচন হবে। মাসব্যাপী এ নির্বাচন হবে। তারা সব নির্বাচন ইভিএমের মাধ্যমে করবে যোগ করেন তিনি।

ট্যাবের বিষয়ে সচিব বলেন, উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে চারটি উপজেলায় ট্যাব ব্যবহার করা হয়েছে। সেখানে দুইটি উপজেলার ফলাফল আমরা দ্রুত পেয়েছি। দুইটি উপজেলায় সমস্যা হয়েছে। সে কারণে চতুর্থ ধাপের ছয়টি উপজেলায় এটি ব্যবহার করা হয়নি। ট্যাবের সফটওয়্যার আরও অপটিমাইজেশন করার প্রয়োজন আছে। এগুলো ঠিক করার জন্য যে কোম্পানির কাছ থেকে এটি কিনেছি তাদের অনুরোধ করেছি। তারা এটি ঠিক করে দেবে।

তিনি বলেন, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনসহ যেসব জায়গায় ইভিএম ব্যবহার করা হবে, সেসব জায়গায় ট্যাব ব্যবহার করা হবে। এখন থেকে যেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আমরা বিটিআরসিকে অনুরোধ করবো ওইসব এলাকায় যেনো ইন্টারনেটের গতিটা বাড়িয়ে দেয়। 

এইচএস/এসএমএম