• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০১৯, ১২:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৮, ২০১৯, ০৬:৩৭ পিএম

হাওলাদারের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান চলতে আইনি বাধা নেই

হাওলাদারের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান চলতে আইনি বাধা নেই
জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক  মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার- ফাইল ছবি


জাতীয় পার্টির (জাপা) সাবেক  মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান কার্যক্রম চলতে আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। কারণ আপিল বিভাগ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তলবি নোটিশ স্থগিত করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ স্থগিত করেছে। এর  ফলে তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান কার্যক্রম চলতে আইনি বাধা নেই।

রোববার (২৮ এপ্রিল) এ হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।  আদালত থেকে বের হবার পর  দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গত ৩ এপ্রিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেয়া নোটিশ স্থগিত করে হাইকোর্ট।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন।

গত ২৮ মার্চ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাকে ৪ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়।

দুদকের তলবি নোটিশে বলা হয়, রুহুল আমিন হওলাদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আছে। সরকারি সম্পদ আত্মসাতের মাধ্যমে শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর রুহুল আমিন হাওলাদারকে চিঠি পাঠিয়ে তাকে ১৮ সেপ্টেম্বর দুদকে হাজির হতে বলা হয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যস্ততা ও অসুস্থতার কারণে হাজির হননি রুহুল আমিন হাওলাদার। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে ব্যক্তিগত উপস্থিতি ও অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে তিনি দুদকে চিঠি পাঠান।

ওই চিঠিতে রুহুল আমিন হাওলাদার বলেছিলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি কার্যক্রম হিসেবে কর্মী সংগ্রহ, প্রার্থী বাছাইসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দলীয় কাজে অত্যন্ত ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। সংসদ অধিবেশনেও প্রতিদিন অংশ নিতে হচ্ছে। তা ছাড়া হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছি।

২০১৪ সালে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে অস্বাভাবিক সম্পদ বৃদ্ধির বিষয়টি আমলে নিয়ে রুহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়। পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৭ সালে নতুন করে অনুসন্ধান শুরু হয়।

এমএ/টিএফ