• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১, ২০১৯, ০২:৩২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১, ২০১৯, ০৮:৪৫ পিএম

দুদকে ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তদন্তে মন্ত্রণালয়ের কমিটি 

দুদকে ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তদন্তে মন্ত্রণালয়ের কমিটি 
ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান

ওয়াসার এমডি’র বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্ত কমিশনে (দুদক) জমা দেয়া অভিযোগের বিষয় আমলে নিয়ে পাঠানো চিঠির প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় (এলজিআরডি) ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এতে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (পাস) কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে।

এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম তদন্ত কমিটি গঠনের কথা স্বীকার করে বলেছেন, দুদকের চিঠি পেয়ে মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। 

জানা যায়, ঢাকার গোপালগঞ্জ সাংবাদিক সমিতির একজন কর্মকর্তা সম্প্রতি ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খানসহ ওই প্রতিষ্ঠানের দুই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দাখিল করে। একই সময়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ওয়াসার এমডির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ উত্থাপন করে সংবাদ প্রকাশিত হয়। 

দুদক এসব আমলে নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন জমা দিতে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়। আর এরই প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় গত ২৯ এপ্রিল ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, দুই পরিচালক প্রকৌশলী আবুল কাশেম ও প্রকৌশলী একেএম সহিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয় তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করে। 

স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (পানি সরবরাহ) মো. জহিরুল ইসলাম (আহবায়ক) ছাড়া কমিটির অপর ৪ সদস্য হলেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্মসচিব মুহম্মদ ইব্রাহিম, পলিসি সাপোর্ট ইউনিটের দায়িত্বে নিয়োজিত যুগ্মসচিব, নগর উন্নয়ন-২ এর দায়িত্বে থাকা যুগ্ম সচিব এবং পানি সরবরাহের দায়িত্বে থাকা একজন উপসচিব। 

তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যেই তদন্ত কার্যক্রম শুরু করার কথা জানিয়েছে। কমিটির একজন সদস্য জানিয়েছেন, তারা বিভিন্ন অভিযোগের পাশাপাশি ঢাকা ওয়াসার পদ্মা-জশলদিয়া প্রকল্পের পাইপ ক্রয়ের ৫শ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগও খতিয়ে দেখবে।

এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম তদন্ত কমিটি গঠনের কথা স্বীকার করে দৈনিক জাগরণকে বলেন, দুদকের চিঠি পেয়ে মন্ত্রণালয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত যে কারো বিরুদ্ধেই হতে পারে। তদন্ত কমিটি গঠন করা মানেই সে কর্মকর্তা অভিযুক্ত নয়। আর আইনের ঊর্ধ্বে কেউই নয়।  

এমএএম/একেএস