মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে শিশু অধিকার বিষয়ে একটি শিশু অধিদফতর গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। তিনি বলেন, শিশুদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর মমতার কারণেই সরকার বাংলাদেশে শিশু বাজেট বরাদ্দ করেছে। এর আগে কোন সরকার এধরণের বাজেট বরাদ্দ দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শিশুদের কল্যাণে সবসময় উদারতার পরিচয় দিয়েছেন এবং এখনও দিচ্ছেন। তাই সময়োপযোগী এ দাবিটা প্রধানমন্ত্রীর নিকট গুরুত্বের সাথে উপস্থাপন করলে তিনি তা পূরণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডেপুটি স্পিকার।

বুধবার (১৫ মে) জাতীয় সংসদের আইপিডি কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত শিশু অধিকার সুরক্ষা ও অগ্রগতি শীর্ষক সেমিনারে একথা বলেন তিনি।

ককাসের সভাপতি শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া।

এর আগে জাতীয় সংসদে শিশু অধিকার বিষয়ক সংসদীয় ককাসের পুনর্গঠন করা হয়। সকালে ডেপুটি স্পিকারের কার্যালয়ে এক সভায় ডেপুটি স্পিকারকে প্রধান উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু কে সভাপতি, আরমা দত্তকে সহ-সভাপতি নির্বাচিত করে এ ককাস গঠন করা হয়। 

কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ হলেন- সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর,  শামীম হায়দার পাটোয়ারী, সামছুল আলম দুদু, ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, মো. ইসরাফিল আলম, মো. ফরিদুল হক খান, রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, কাজী কেরামত আলী, শেখ সারহান নাসের তন্ময়, মো. আব্দুল মজিদ খান, আনোয়ার হোসেন খান, সাইমুম সরওয়ার কমল, মো. রেজাউল করিম বাবলু, বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান, বাসন্তী চাকমা, উম্মে ফাতেমা নাজমা, অপরাজিতা হক, রাবেয়া আলীম, তামান্না নুসরাত (বুবলী), কাজী কানিজ সুলতানা, গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন, রওশন আরা মান্নান, নাহিদ ইজাহার খান, মোছা. শামীমা আক্তার খানম।

এরপর সেমিনারে ডেপুটি স্পিকার আরো বলেন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে শিশুদের জন্য যে বাজেট বরাদ্দ করা হয় তা সঠিকভাবে সময়মত শিশুদের কল্যাণে যাতে খরচ হয় সেজন্য মন্ত্রণালয়ের নজরদারি আরো বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এসময় শিশুদের কল্যাণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে বাজেটের সুষম ব্যয় নিশ্চিত করতে মনিটরিং ব্যবস্থা আরো বেশি জোরদার করার উপর গুরুত্বারোপ করেন ডেপুটি স্পিকার।

সেমিনারে বক্তব্য রাখেন- ককাসের সদস্যগণ, গণমাধ্যম প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিতিগণ।

এইচএস/টিএফ