• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ১৫, ২০১৯, ০৬:২৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৬, ২০১৯, ০৩:০৫ এএম

দেশবাসীর প্রতি ওবায়দুল কাদেরের কৃতজ্ঞতা

নতুন উদ্যমে কাজ করার প্রত্যয়

নতুন উদ্যমে কাজ করার প্রত্যয়
উন্নত চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরেন ওবায়দুল কাদের -ছবি : জাগরণ

প্রায় ৭০ দিন উন্নত চিকিৎসা শেষে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার (১৫ মে) বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের ফ্লাইট নম্বর বিজি ০৮৫ এ হযরত শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে অবতরণ করেন তিনি। বিকেল ৫টা ৫৫ মিনিটে তাকে বহনকারী ফ্লাইট অবতরণ করে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে। ফ্লাইট থেকে হেঁটেই নামেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা-কর্মীরা তাকে স্বাগত জানান।

বিমান বন্দরে নেমে সাংবাদিকদের কাছে অনুভূতি ব্যক্ত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, একজন রাজনীতিবিদের সবচেয়ে বড় অর্জন জনগণের ভালবাসা। তিনি তা পেয়েছেন। নতুন উদ্যমে আওয়ামী লীগের পাশে থেকে কাজ করার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন ওবায়দুল কাদের। একই সঙ্গে তিনি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। 

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সদ্য সিঙ্গাপুর ফেরত ওবায়দুল কাদের -ছবি : জাগরণ

ওবায়দুল কাদের বলেন, দুই মাস ১১ দিন আগে আমার জীবন ছিল চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে। বাঁচব কিনা এ নিয়ে সংশয় ছিল। সেই জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পরম করুণাময় আল্লাহ তাআলার ইচ্ছায় এবং আমাদের প্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা যিনি চরম সঙ্কটে মা তার সন্তানের জন্য যা করে তিনি আমার জন্য তাই করেছেন। তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা আমার জানা নেই। যিনি মমতাময়ী মা, সত্যিই তার কাছে আমার ঋণের বোঝা বেড়ে গেল।

তিনি বলেন, শেখ রেহানা কোরআন শরীফ পাঠ করে আমার জন্য দোয়া করেছেন। তার প্রতিও আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। যদিও সেই সময়ে আমার মধ্যে আমি ছিলাম না। শুনেছি আপনজন এই সময় কাছে এসে ডাকলে মৃত্যুপথযাত্রী সাড়া দেয়। শেখ হাসিনা আমাকে নাম ধরে ডেকেছিলেন, তখন আমি সারা দিয়েছিলাম এটা পরে আমাকে বলেছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা দেশের মানুষ দলের এবং দলের বাইরের সবাই আমার জন্য দোয়া করেছেন এমনকি প্রবাসী বাঙালিরাও আমার পাশে ছিলেন।

একজন রাজনীতিবিদের সবচেয়ে বড় অর্জন জণগনের ভালবাসা পাওয়া। যা আমি পেয়েছি। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আসুন আমরা নতুন উদ্যমে কাজ করে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী করি। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রতি যারা আমার অনুপস্থিতিতে টিমওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হতে দেননি।

তিনি বলেন, আর পাঁচ মিনিট পর যদি আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আসতাম তাহলে অন্য ঘটনাও ঘটে যেতে পারত। আপনারা কি তা ভেবেছেন?

এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসক এবং দেবী শেঠীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

এর আগে ওবায়দুল কাদেরকে স্বাগত জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, দলের শ্রম বিষয়ক হাবিবুর রহমান সিরাজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন, ইকবাল হোসেন অপুসহ আরও অনেকে।

গত ৩ মার্চ (রোববার) সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাজধানীর বিএসএমএমইউ’তে ভর্তি হন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেখানে এনজিওগ্রাম পরীক্ষা করার পর তার করোনারি ধমনিতে তিনটি ব্লক পান চিকিৎসকরা। উন্নত চিকিৎসার জন্য পরদিনই তাকে সিঙ্গাপুর নেয়া হয়। গত ২০ মার্চ (বুধবার) মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মন্ত্রীর বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন হয়।

শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে গত ২৬ মার্চ (মঙ্গলবার) ওবায়দুল কাদেরকে হাসপাতালের আইসিইউ থেকে কেবিনে নেয়া হয়। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের কেবিনে বেশ কিছুদিন চিকিৎসা দেয়ার পর ওবায়দুল কাদের বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই তার চিকিৎসক ও তার আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে শুরু করেন।

গত ৫ এপ্রিল (শুক্রবার) সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে রিলিজ পান তিনি। এরপরসিঙ্গাপুরে একটি ভাড়া করা অ্যাপার্টমেন্টে ছিলেন ওবায়দুল কাদের।

এএইচএস/এসএমএম