• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৫, ২০১৯, ০৮:৫০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৫, ২০১৯, ০৮:৫০ পিএম

৭ প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল 

১৮টি পণ্যের অনুমোদন স্থগিত

১৮টি পণ্যের অনুমোদন স্থগিত

আদালত কর্তৃক চিহ্নিত নিম্নমানের ৫২টি খাদ্যপণ্যের মধ্যে ৭টির উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল করেছে জাতীয় মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বিএসটিআই। এছাড়া ১৮টি পণ্য উৎপাদনের অনুমোদন স্থগিত করা হয়েছে বলে বুধবার ( ১৫ মে) বিএসটিআইয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

লাইসেন্স বাতিল হওয়া কোম্পানিগুলোর তালিকায় ড্রিংকিং ওয়াটারের মধ্যে আল সাফি ড্রিংকিং ওয়াটার, শাহারী অ্যান্ড ব্রাদার্সের নারজান ড্রিংকিং ওয়াটার, মর্ন ডিউ পিওর ড্রিংকিং ওয়াটার এবং আর আর ডিউ ড্রিংকিং ওয়াটার রয়েছে।

কেরাণীগঞ্জে শান্তা ফুড প্রডাক্টসের টেস্টি, তানি ও তাসকিয়া এবং কামরাঙ্গীরচরের জাহাঙ্গীর ফুড প্রডাক্টসের প্রিয়া ব্র্যান্ডের সফট ড্রিংক পাউডারেরও লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।

এছাড়া মিরপুরের বনলতা সুইটস অ্যান্ড বেকারির বনলতা ব্র্যান্ডের ঘি-এর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।

লাইসেন্স স্থগিত হওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে- সরিষার তেল উৎপাদনকারী সিটি অয়েল মিল, গাজীপুর (তীর), গ্রিন ব্লিসিং ভেজিটেবল অয়েল, নারায়ণগঞ্জ (জিবি), শবনম ভেজিটেবল অয়েল, নারায়ণগঞ্জ (পুষ্টি), বাংলাদেশ এডিবল অয়েল, নারায়ণগঞ্জ (রূপচাঁদা)। সুপেয় পানির মধ্যে আররা ফুড অ্যান্ড বেভারেজ (আররা), ডানকান প্রোডাক্ট (ডানকান), দিঘী ড্রিংকিং ওয়াটার (দিঘী)। প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের প্রাণ ব্র্যান্ডের লাচ্ছা সেমাই। হলুদের গুঁড়ার মধ্যে ড্যানিশ, প্রাণ ও ফ্রেশ। কারী পাউডারের মধ্যে প্রাণ ও ড্যানিশ। আয়োডিনযুক্ত লবণের মধ্যে এসিআই ও মোল্লা সল্ট। ধনিয়া গুড়ার মধ্যে এসিআই পিওর, নুডলসের মধ্যে নিউজিল্যান্ড ডেইরির ডুডলস এবং চিপসের মধ্যে কাশেম ফুডের সান ব্র্যান্ড রয়েছে।

মনোন্নয়ন করে আবার লাইসেন্স গ্রহণের আগে এসব পণ্য উৎপাদন, সরবরাহ এমনকী খুচরা বিক্রি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব পণ্য বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি এর সংরক্ষণ ও বাণিজ্যিক প্রচার বন্ধ করারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বিএসটিআইয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোজা শুরুর আগে বাজারে গোপন অভিযান চালিয়ে ৪০৬টি পণ্যের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। এসব পণ্যের মধ্যে ৫২টি পণ্য নিম্নমানের হিসাবে চিহ্নিত হয় ল্যাবরেটরি পরীক্ষায়। সম্প্রতি সংশ্লিষ্ট বিপণন কোম্পানিগুলোকে এ নিয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছিল।

বিএসটিআইয়ের সার্টিফিকেশন মার্কস বিভাগের উপ-পরিচালক রিয়াজুল হক জানান, নোটিশের উত্তর দেয়ার সময় শেষ হওয়ার পরও উত্তর না আসায় ওই সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

জেড এইচ/ এফসি