• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মে ২২, ২০১৯, ০১:৪২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২২, ২০১৯, ০৪:০৬ পিএম

এফআর টাওয়ার 

অনিয়মে রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৫৩ জন চিহ্নিত 

অনিয়মে রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৫৩ জন চিহ্নিত 
সচিবালয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম- ছবি: জাগরণ

অবশেষে আলোর মুখ দেখলো এফ আর টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট। এই তদন্ত রিপোর্টে এফ আর টাওয়ার ভবনের নকশা অনুমোদনে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন খাদেমসহ ৫৩জনকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।

বুধবার (২২ মে) দুপুরে সচিবালয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কেন্দ্রে এই তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এ সময় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহিদুল্লাহ খন্দকারসহ মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে এফআর টাওয়ার ভবন নির্মাণের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।  

তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ কালে পূর্তমন্ত্রী জানান, বনানীর এফ আর টাওয়ারের ১৮ তলা বিশিষ্ট আবাসিক কাম বাণিজ্যিক ভবনের নকশা অনুমোদন হয়েছে বিধি লঙ্ঘন করে। আর এর এই নকশা অনুমোদনের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত হিসেবে তদন্ত কমিটি প্রাথমিকভাবে যাদের চিহ্নিত করেছে তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন- রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন খাদেম। 

অনিয়মের সঙ্গে জড়িত অপর ব্যক্তিরা হচ্ছেন রাজউকের সাবেক সদস্য ডি এম ব্যাপারী, রাজউকের সাবেক নগর পরিকল্পনাবিদ জাকির হোসেন, রাজউকের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমান, রাজউকের সাবেক অথরাইজড অফিসার -২ সৈয়দ মকবুল আহমেদ, রাজউকের সাবেক সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ ও জমির লিজ গ্রহীতা মো. হোসাইন ইমাম ফরুক। 

অনিয়মে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যাপারে শ ম রেজাউল করিম বলেন, বিধি লঙ্ঘন করে যারা এফ আর টাওয়ারের নকশা অনুমোদন দিয়েছেন, তারা চাকরি থেকে চলে গেলেও রেহাই পাবেন না। অপরাধের দায় তাদের বহন করতেই হবে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নর জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত রিপোর্টে রাজউক, সচিবালয়সহ সকল দোষীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। এই ভবন নির্মাণের অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

তিনি আরও জানান, এফ আর টাওয়ারের কথিত ২৩ তলা বিশিষ্ট নকশাটি বৈধতা দেয়ার জন্য বিভিন্ন রেজিস্ট্রারে অবৈধ এন্ট্রি ও ইস্যু দেখিয়ে এবং ঐ নকশার সাহায্যে বিভিন্ন ফ্লোর হস্তান্তরকরণ, বন্ধক অনুমতি প্রদান এবং ঋণ গ্রহণের অনুমতি প্রদান ইত্যাদির সাথে জড়িত ছিলেন রাজউকের ৩৩ কর্মকর্তা-কর্মচারী। আর বিধি লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানসহ ৭ জন। এছাড়া তদন্ত কমিটির রিপোর্টে অভিযুক্ত হয়েছেন বিভিন্ন পেশার আরও ১৩ জন।
 
এমএএম/টিএফ/আরআই