• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৩, ২০১৯, ০৫:৪৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৩, ২০১৯, ০৫:৪৩ পিএম

রাষ্ট্র মেরামতে ১৮ সংস্কার চায় সুজন

রাষ্ট্র মেরামতে ১৮ সংস্কার চায় সুজন

রাষ্ট্র মেরামতের অংশ হিসেবে দেড় ডজন সংস্কারের দাবি তুলেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কার ও নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় এসব সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরে সংগঠনটির নেতারা।

নির্বাচন পদ্ধতি, নির্বাচন কমিশন, সংবিধান সংশোধন, বিকেন্দ্রীকরণ, স্থানীয় সরকার, স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠা, রাজনৈতিক সংস্কৃতির মতো বিষয় রয়েছে সুজনের ১৮ দফা প্রস্তাবের মধ্যে। এসব সংস্কার প্রস্তাবের আলোকে জাতীয় সনদ তৈরি করারও দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। 

গোলটেবিল বৈঠকের শুরুতে ‘রাষ্ট্র মেরামতের লক্ষ্যে রাজনৈতিক সংস্কার’ শিরোনামে প্রস্তাব পাঠ করেন সুজনের প্রধান সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। এতে বলা হয়, ১৯৯০ সালে তিন জোটের রূপরেখা স্বাক্ষর সফল হলেও ব্যর্থ হয়েছে তার বাস্তবায়ন। তিন জোটের রূপরেখার আদলেই নতুন জাতীয় সনদ স্বাক্ষর করতে উদ্যোগ নিতে হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান বলেন, রাষ্ট্রের মেরামত জরুরি হয়ে পড়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, এটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। তাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো কিছু একটা বের করতে হবে।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ ছাড়া সমস্যার সমাধান হবে না। তিনি বলেন, উদার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্রমেই সংকুচিত হয়ে পড়ছে। সংক্রামক ব্যাধির মতো উগ্রপন্থীদের উত্থান ঘটছে বিশ্বজুড়ে। তাই এখানেও এমন শঙ্কা আছে।

সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, শাসনব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। এভাবে চলতে থাকলে দেশ অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হবে।

মানবাধিকার কর্মী হামিদা হোসেন বলেন, আইয়ুব খানের সময়েও অনেকটা স্বাধীনভাবে লেখা হয়েছে। এরশাদের সময়ে প্রকাশ্যে প্রতিবাদ হয়েছে। অথচ আজ মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথাও স্পষ্ট করে বলা যায় না। নানান ধরনের চাপের মধ্যে থাকতে হয়। 

বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, কোনো ধরনের বিরুদ্ধ মত প্রকাশ করা যাচ্ছে না। দুই-তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জনগণের মূল্যায়ন কমে গেছে। কিন্তু জনগণের মধ্যে অসন্তোষ থাকলে কোনো উন্নয়ন টেকসই হবে না।

গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকী বলেন, সবার রাজনীতি করার সুযোগ তৈরি করতেই সংস্কার করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- অধ্যাপক সি আর আবরার, সংরক্ষিত আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী রুমিন ফারহানা, নাগরিক ঐক্যের কেন্দ্রীয় সদস্য জাহেদ উর রহমান, সিপিবির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল্লাহ আল ক্বাফি রতন প্রমুখ।

এইচ এস/টিএফ