• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৪, ২০১৯, ০১:২৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৪, ২০১৯, ০১:২৩ পিএম

‘ভারতের সঙ্গে তিস্তাসহ অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান হবে’ 

‘ভারতের সঙ্গে তিস্তাসহ অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান হবে’ 

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটের (এনডিএ) বিশাল জয়ের পর বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা চুক্তিসহ অন্যান্য অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধান হবে এমন আশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। 

শুক্রবার (২৪ মে) দুপুরে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর এক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন আশা প্রকাশ করেন। 

এর আগে ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ভারতে গঠিত হতে যাওয়া এবারের মোদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কেমন হবে এমন এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তিনি এবার ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছেন। তিনি এবার স্পেকুলেশনকেও ছাড়িয়ে গিয়েছেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন বার্তাও পাঠিয়েছেন। মোদি সরকারের গত শাসনামলে আমাদের সঙ্গে অনেক অমীমাংসিত সমস্যা সমাধান হয়েছে। মোদি সরকারের সাহসিকতা ও বিচক্ষণতার প্রমাণ দুই  দেশের সীমান্ত সমস্যার সমাধান। আমরা আশা করি, এ ধরনের কাজ যখন সম্পন্ন হয়ে গেছে এবং সমাধান প্রচেষ্টা খুব দ্রুত হয়েছে। আমরা আশা করি আমাদের সঙ্গে তিস্তা যুক্তিসহ অমীমাংসিত বিষয় সেগুলোর সমাধান যে প্রক্রিয়াটা আছে সে প্রক্রিয়াটা আরো দ্রুত হবে। 

সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জেলখানায় বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলতে চায় বিএনপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গত তিনি বলেন, আমি এতোটুকু বলতে চাই, শেখ হাসিনার সরকার অমানবিক নয়। খালেদা জিয়া আইনগত কারণে হয়তো কারাগারে রয়েছেন। কিন্তু তাকে বিনা চিকিৎসায় মেরে ফেলতে হবে এ ধরনের অমানবিক ও নিষ্ঠুর কাজ  সরকার করবে না। 

ওবায়দুল কাদের বলেন,সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় মুজিববর্ষ পালন নিয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক আলোচনা হয়েছে। ঈদের পরে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মুজিববর্ষের কর্মসূচি মোটাদাগে পালনে নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে আর আমাদের জাতীয় সম্মেলন সারাদেশে তৃণমূল পর্যন্ত কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এসব বিষয়ে আমাদের দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। 

দলের কাউন্সিল ঘিরে সুবিধাবাদীরা প্রবেশ করছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এসব সুবিধাবাদীদের অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সুযোগসন্ধানীরা চিরদিন এটা করে থাকে। আমাদের দলের সিদ্ধান্ত পরিষ্কার পরীক্ষিত ত্যাগী নেতাকর্মীদের সংগঠন তৃণমূল থেকে নেতৃত্বে আনা হবে। কোনো জায়গায় সুযোগ সন্ধানীদের স্থান হবে না। 

সভায় উপস্থিত ছিলেন-  আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ আব্দুর রহমান সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বিএম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক ও গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বন বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি। 

গত ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১৯ মে পর্যন্ত সাত ধাপে অনুষ্ঠিত হয় ভারতের লোকসভা নির্বাচন। ২৯টি রাজ্য ও ৭টি কেন্দ্রীয় অঞ্চলের ৫৪২টি আসনে ছিল এ ভোটের আয়োজন। ৫৪৩টি আসনে ভোট হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ভেলোর আসনে নির্বাচন স্থগিত করা হয়।

নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল অনুযায়ী, ৫৪২টি আসনের মধ্যে এনডিএ জোট পেয়েছে ৩৫০টি, কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট পেয়েছে ৮৩টি এবং এনডিএ জোটের ২৯০টি আসন পেয়েছে বিজেপি। এ হিসেবে বিজেপি একাই সরকার গঠন করার মতো আসন পেয়ে গেলো।

দেশটিতে সরকার গঠন করতে হলে যেখানে ২৭২ আসনের প্রয়োজন, সেখানে জোট ছাড়াই শুধু বিজেপি পেয়েছে তার চেয়ে আরও ১৮ আসন বেশি। তাই এবার ক্ষমতাসীনদের আবার নতুন করে সরকার গঠনের পালা শুধু।

এইচএস/বিএস