মুক্তিযুদ্ধকালীন দেশের থানা, মহাকুমা, জেলা প্রশাসন থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলনকারী রাজাকারদের তালিকা সংরক্ষণের সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। রাজাকারদের তালিকা প্রকাশের এ সময় এই তালিকা ধরে ব্যবস্থা নিতে এই সুপারিশ করে কমিটি।

রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চতুর্থ বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়। 

কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম, বীর উত্তম এবং কাজী ফিরোজ রশীদ অংশ নেন।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি শাজাহান খান দৈনিক জাগরণকে বলেন, রাজাকার, আল-বদর, আল-শামসদের তালিকা প্রকাশ করার কথা থাকলেও নানা জটিলতায় তা আটকে আছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তাদের দাবি জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে (জামুকা) এ সংক্রান্ত বিদ্যমান আইনে শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করার কথা উল্লেখ আছে। এজন্য রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস বা স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকা করার আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। তবে এই আইন সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এজন্য সংসদীয় কমিটি মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে দেশের থানা, মহাকুমা, জেলা প্রশাসন থেকে বেতন-ভাতা উত্তোলনকারী রাজাকারদের তালিকা যথাযথভাবে সংরক্ষণের সুপারিশ করেছে। তাদের তালিকা করার এ সময় এইসব তালিকা দলিল হিসেবে কাজ করবে।

বৈঠক শেষে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, রাজধানী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নির্মাণাধীন ‘স্বাধীনতা স্তম্ভ’ প্রকল্প পরিদর্শন করবে কমিটি। ২৮ মে সকাল ১১টায় সেখানে যাবেন কমিটির সদস্যরা। কাজের অগ্রগতি দেখতে সেখানে যাওয়া হবে।

জানা যায়, বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধের তালিকা যাচাই-বাছাই কার্যক্রমের অগ্রগতি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করে।

বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বিভিন্ন সংস্থার প্রধানগণসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এইচএস/আরআই