• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১, ২০১৯, ০১:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১, ২০১৯, ০৩:৪২ পিএম

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী 

যৌথভাবে উদযাপন করতে চান মোদী 

যৌথভাবে উদযাপন করতে চান মোদী 
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী যৌথভাবে উদযাপনে গুরুত্বারোপ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 

শুক্রবার (৩১ মে)বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ হায়দরাবাদ হাউসে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

বাংলাদেশের রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসনে দিল্লির সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বস্ত করেছেন নরেন্দ্র মোদী।     

বৈঠকে মোদী বলেন, ‘আমরা মনে করি জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান হওয়া উচিত। কাজেই বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে আমরা এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো।’

বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। খবর বাসস

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা শুধু বাংলাদেশের একার নয়। এটা সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার জন্য মারাত্মক হুমকি। দীর্ঘস্থায়ী ও দ্বিপক্ষীয় ঐতিহাসিক এবং ভ্রাতৃপ্রতীম দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মোদি বলেন, ভারত এবং এ দেশের জনগণ সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তি উদযাপন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বহুপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’

বৈঠকে রাষ্ট্রপতি হামিদ মোদীকে বলেন, বাংলাদেশের জনগণ তিস্তার পানি বন্টনের বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় আছে।ভারতও অমীমাংসিত বিষয়টির সমাধান চায় উল্লেখ করে মোদী যৌথ নদী কমিশনের কার্যকারিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অংশীদারিত্ব বিকশিত হয়েছে। 

বিপুল বিজয়ের মধ্যদিয়ে টানা দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় মোদীকে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বললেন, ‘ভারতের জনগণ আবারও আপনার নেতৃত্বে আস্থা স্থাপন করেছে এবং আমি নিশ্চিত যে আপনি দ্বিতীয় মেয়াদেও দায়িত্ব পালনে বড় ধরনের সাফল্য দেখাতে সক্ষম হবেন।’
রাষ্ট্রপতি মোদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা পৌঁছে দিয়ে বলেন, রাষ্ট্রীয় ব্যস্ততার জন্য তিনি (হাসিনা) মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তবে তিনি (হাসিনা) সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে আপনাকে (মোদি) বাংলাদেশে স্বাগত জানাতে অপেক্ষায় রয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত গত ৫ বছরে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে নিরাপত্তা, বিদ্যুৎ, ব্যবসা-বাণিজ্য, জ্বালানি, যোগাযোগ, অবকাঠামো, সংস্কৃতি, জনগণ জনগণ যোগাযোগ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সামুদ্রিক অর্থনীতি, নৌ-সহযোগিতা ও পারমাণবিক জ্বালানির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে সহযোগিতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি প্রত্যক্ষ করেছে।

রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত বন্ধুত্বপূর্ণভাবে ছিটমহল ও জলসীমা ইস্যু নিষ্পত্তির মাধ্যমে সৎ প্রতিবেশিসুলভ আচরণে সুন্দর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

মোদি হায়দারাবাদ হাউজে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি হামিদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী এবং রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বুধবার তিন দিনের সফরে নয়াদিল্লি পৌঁছান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি।

বিএস