• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২, ২০১৯, ০৩:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২, ২০১৯, ০৩:১৩ পিএম

জঙ্গিদের আইনি সহায়তা না দিতে র‌্যাব ডিজির অনুরোধ

জঙ্গিদের আইনি সহায়তা না দিতে র‌্যাব ডিজির অনুরোধ
র‌্যাবর ডিজি বেনজীর আহমেদ -ফাইল ছবি

জঙ্গিদের আইনি সহায়তা না দিতে আইনজীবীদের অনুরোধ জানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ডিজি বেনজীর আহমেদ। অন্যান্য অপরাধের মতো জঙ্গিবাদকে আইনি সহায়তা দিলে তা হবে আত্মঘাতী। তিনি জঙ্গিবাদকে ভিন্নভাবে দেখতে আইনজীবীদের প্রতি অনুরোধ জানান।

রোববার (২ জুন) রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়ে জানাতে গিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অনুরোধ জানান।

বেনজীর আহমেদ বলেন, জামিনে পলাতক থাকা জঙ্গিরা আবারও সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করছে। তবে সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, তারা বেশিদিন এ তৎপরতা চালাতে পারবে না। তাদের ওই শক্তি আমরা ভেঙ্গে দিয়েছি।

তিনি বলেন, হলি আর্টিজান জঙ্গি হামলার পর থেকে এ পর্যন্ত ৫১২ জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ৩০০ জন জামিনে আছেন, যাদের অধিকাংশই পলাতক।

আইনজীবীদের উদ্দেশে র‌্যাব ডিজি বলেন, টাকা দিলেই জঙ্গিদের পক্ষে আদালতে দাঁড়াবেন না। চুরি-ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মতো অন্য ৮-১০টি অপরাধের মতো জঙ্গিবাদকে দেখবেন না, দেখলে তা হবে আত্মঘাতী। জঙ্গিরা আদালতেও হামলা করেছে, কেউ তাদের আওতার বাইরে নয়। আপনারা যাদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে জামিনের ব্যবস্থা করেছেন, তাদের আবার কোর্টে হাজির করেন, সমস্যা নেই। কিন্তু দেখেন তারা প্রায় সবাই পলাতক। তাই আপনাদের প্রতি অনুরোধ, জঙ্গিদের বিষয়টাকে আপনারা ভিন্নভাবে দেখবেন। আইনের ফাঁক দিয়ে জঙ্গিরা বের হয়ে যাচ্ছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনের কোন সমস্যা নেই, আইন প্রয়োগে সমস্যা থাকতে পারে।

র‌্যাব ডিজি আরও বলেন, বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও জাতীয় তিন পর্যায়েই জঙ্গি হামলার ঝুঁকি রয়েছে। তবে নিজস্ব গোয়েন্দাদের পাশাপাশি অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে আমাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। অপতৎপরতা বা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগে প্রস্তুত থাকার কথাও জানান তিনি।

ঈদকালীন নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, রমজানের শুরু থেকেই দেশের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলগুলো ঘিরে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে জনসাধারণ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে বাড়ি ফিরতে এবং বাড়ি থেকে ঢাকায় ফিরতে পারে সেজন্য র‌্যাব তৎপর রয়েছে। এছাড়া ঈদযাত্রাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বাস-ট্রেন ও লঞ্চ টার্মিনালে ১৫টি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। সড়কে যানজট এবং দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে দেশজুড়ে ৪২টি স্থানে র‌্যাবের নজরদারি রয়েছে। তবে এবার সড়ক এবং নৌপথে ঈদযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে, রেলপথে কিছুটা বিলম্ব রয়েছে।

তিনি বলেন, ২৪ ঘণ্টা সড়ক-নৌ এবং রেলপথে নজরদারি রয়েছে। ঈদে বাড়ি যাত্রা এখনও স্বস্তিদায়ক রয়েছে, আশা করছি ফেরার যাত্রাও স্বস্তিদায়ক হবে। আমরা চাই না সড়কে কোনো প্রাণহানি ঘটুক।

জাতীয় ঈদগাহসহ রাজধানীতে পাঁচশতাধিক ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, রাজধানী ছাড়াও শোলাকিয়া, দিনাজপুরসহ সবকটি বড় ঈদ জামাতে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে। সর্বোচ্চ সক্ষমতা দিয়ে ঈদ উৎসবটি নিরাপদ করার ব্যবস্থা করা হবে। দেশজুড়ে র‌্যাবের সর্বোচ্চ উপস্থিতি প্রদর্শনের চেষ্টা করা হচ্ছে। ঈদে ফাঁকা শহরগুলোতে যেকোনো অপরাধ রুখতে আমাদের আলাদা পরিকল্পনা রয়েছে। অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে ঈদ উদযাপন নিরাপদ করতে পূর্ণ প্রস্তুতির কথা জানান র‌্যাব ডিজি।


এইচ এম/একেএস