• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১১, ২০১৯, ০৩:৫৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১১, ২০১৯, ০৪:৫৪ পিএম

কৃষকদের সহযোগিতায় আরও ধান ও চাল কিনবে সরকার

কৃষকদের সহযোগিতায় আরও ধান ও চাল কিনবে সরকার

 

কৃষকদের ব্যয় পুষিয়ে তুলতে এ বছর খাদ্য মন্ত্রণালয় আরো ১২ লাখ টন চাল এবং আড়াই লাখ টন ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা সরাসরি প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করা হবে। এখানে মধ্যপন্থীদের কোনো স্থান নেই। এর আগের সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ পর্যন্ত ৩০ হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয় করা হয়েছে। কেনার বাকি আছে ২০ হাজার মেট্রিক টন। এর পরও আরো আড়াই হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয় করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকেলে সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কৃষি মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এবং খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘ধানের দামের সঙ্গে কৃষকদের ব্যয়ের যে ব্যবধান, তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী উদ্বিগ্ন ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীকে আমরা জানিয়েছিলাম, আগামীতে কৃষকদের ব্যয় কমাতে কি কি উদ্যোগ নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের বলেছেন, এটাতো আগামী বছরের বিষয়, এখন কি উদ্যোগ নেয়া যায়। সেই বিষয়ে আজ আমরা কৃষি মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য মন্ত্রণারয় যৌথভাবে বৈঠক করেছি। বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে, এর আগে কৃষকদের কাছ থেকে যে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত হয়েছিলো তার মধ্যে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। এখনও বাকি আছে ২০ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা। এই ধান কেনা শেষ হওয়ার পরপরই খাদ্য মন্ত্রণালয় সরাসরি আরো ১২ লাখ টন চাল এবং আড়াই লাখ টন ধান ক্রয় করবে। এই ধান সরাসরি প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করা হবে। অর্থাৎ এখানে মধ্যপন্থীদের স্থান নেই।’

সংবাদ সম্মেলনে খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, বাংলাদেশ সব সময়ই খাদ্য সংকট বা খাদ্য ঘাটতির দেশ ছিলো। এখন আর সেই অবস্থা নেই। বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক চেষ্টায় খাদ্যে এসেছে স্বয়ংসম্পূর্ণতা। উৎপাদনে এসেছে অভাবনীয় সাফল্য। আর এ কারণেই ধানের দাম কমেছে। তবে সরকার বিষয়টি নিয়ে হাত গুটিয়ে বসে নেই। কৃষকদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে কি করা যায়, তা নিয়ে বৈঠকের পর বৈঠক করছে।

কৃষিমস্ত্রী জানান, আগামী বছর কৃষকদের ধানের ফলনে ব্যয় কমিয়ে আনতে ‘হারভেষ্টর’ মেশিনসহ (ধান কাটা মেশিন) উন্নত ট্রাকটর আমদানী করে কৃষকদের মাঝে কমমূল্যে ভর্তুকি দিয়ে বিতরণ করবে। এতে করে কৃষকদের ফলন ব্যয় অর্ধেকে নেমে আসবে।

এমএএম/এসজেড