• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১২, ২০১৯, ০৪:১৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১২, ২০১৯, ০৪:৫৩ পিএম

বিমানের ঘটনায় প্রতিবেদন জমা দেয়নি তদন্ত কমিটি

বিমানের ঘটনায় প্রতিবেদন জমা দেয়নি তদন্ত কমিটি
বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৮৭ মডেলের ড্রিমলাইনার, (ইনসেটে) ফজল মাহমুদ - ফাইল ছবি

ভিভিআইপি বিমানের পাইলট পাসপোর্ট ছাড়া কাতার ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে আটক হওয়ার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের গঠিত তদন্ত কমিটি নির্ধারিত সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়নি। ইমিগ্রেশনের ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ তুলে ধরতে একটু সময় লাগছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির একজন সদস্য।  এদিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাপনায় আরো কড়াকড়ি আরোপের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধানমন্ত্রীকে আনতে যাওয়া বোয়িং ৭৮৭ মডেলের ড্রিমলাইনার (ভিভিআইপি) বিমানের পাইলট ফজল মাহমুদের পাসপোর্ট ছাড়া হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন অতিক্রম, দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাতার ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে আটক হওয়াসহ পুরো ঘটনা তদন্তে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ৭ জুন চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। ১০ জুন প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা থাকলেও এই রিপোর্ট লেখার সময় (১২ জুন) পর্যন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়নি তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক হলেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাসিমা বেগম। আর সদস্য সচিব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের যুগ্ম সচিব (রাজনৈতিক-১) মো. জাহাঙ্গীর আলম। কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব (রাজনৈতিক-৪) মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকী। 

তদন্ত কমিটির একজন সদস্য দৈনিক জাগরণকে বলেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাপনায় ত্রুটির বিষয় নিয়ে এরইমধ্যে বিমানবন্দর পরির্দশন ও ইমিগ্রেশন পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। সিভিল এভিয়েশনের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে। তিনি বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলটের পাসপোর্ট ছাড়া কাতারযাত্রার ঘটনা অনুসন্ধানের পাশাপাশি ইমিগ্রেশন ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা শনাক্তসহ বিমানবন্দরের সকল ত্রুটি-বিচ্যুতি নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ তুলে ধরা হবে তদন্ত প্রতিবেদনে। এজন্য একটু সময় লাগছে বলেও জানান তিনি। তবে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে কত দিন সময় লাগবে এ সম্পর্কে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। 

বিষয়টিতে বিমান মন্ত্রণালয়, ইমিগ্রেশন ও সিভিল এভিয়েশনের টনক না নড়লেও প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে কড়াকড়ি আরোপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। ত্রিদেশীয় সফর নিয়ে গত ৯ জুন বিকালে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি ইমিগ্রেশনে কড়াকড়ি করতে বলেছি। আমাদের সবাই তো ভিআইপি! তারপর ভিভিআইপি, তারপর আরও ‘ভি’ লাগবে। যত ‘ভি’-ই থাকুক, কাউকে ছাড়া হবে না। প্রত্যেকের পাসপোর্টে সিল মারা আছে কি না, চেকটা ঠিকমতো হচ্ছে কি না, সব ব্যবস্থা করতে হবে। আত্মীয়স্বজনকে সি-অফ করতে গেলেও বিমানবন্দরে টিকিট করে যেতে হবে। সেখানেও একটু কড়াকড়ি করতে হবে।

তদন্ত কমিটি গঠনের আদেশে স্বাক্ষর করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব গাজী তারিক সালমন। এতে বলা হয়- পাসপোর্ট ছাড়া পাইলট ফজল মাহমুদের দোহা ভ্রমণের কারণ অনুসন্ধান করবে কমিটি। একইসঙ্গে কমিটি শাহজালাল বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার কারণ নিরূপণ করবে। চিহ্নিত করবে বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের ত্রুটি।

এমএএম/ এফসি