• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০১৯, ০২:৫৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৯, ২০১৯, ০২:৫৫ পিএম

‘জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক প্রমাণ দিন, রাজনীতি ছাড়বো’ 

‘জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক প্রমাণ দিন, রাজনীতি ছাড়বো’ 

জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া বলেছেন, আজ একটি রাজনৈতিক দল জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করছে। এ নিয়ে জাতীয় পার্লামেন্টেও আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। যদি বিএনপির কোনো নেতা বা নেত্রী প্রমাণ করতে পারে স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমান একবারও নিজেকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করেছে তা হলে রাজনীতি ছেড়ে চলে যাবো। আমরা মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে রাজনীতি করতে চাই না। 

বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে  রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় যাদুঘরে ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার শুনানি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
  
জাতীয় সংসদের ডেপুটি  স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধুসহ অনেকেই দেশ স্বাধীনের আগে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন মামলার আসামি হয়েছেন। কই সে দিন তো জিয়াউর রহমান কোনো মামলার আসামি হয় নি। অথচ তিনি আজ স্বাধীনতার ঘোষক হয় গেলেন।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেন। দেশের প্রতিটি মানুষের স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানা দরকার। বঙ্গবন্ধু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বক্তব্য দিয়েছে। সেই বক্তব্য থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছে। এগুলো ইতিহাসের নিরব সাক্ষী। তাই আপনারা (বিএনপি ) সঠিক ইতিহাস জানতে ইতিহাস পড়ুন, শিক্ষা নিন।
 
তিনি বলেন, স্বাধীনতার স্বপক্ষে সঠিক ইতিহাস জানার জন্য রাজনীতি থাকা উচিত। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করেছি। কিন্তু সেই রাজনীতি করি না যে রাজনীতি মিথ্যার আশ্রয় নেয়। আপনারা (বিএনপি ) মিথ্যার রাজনীতি বাদ দিন।
 
১৯৬৯ সালের গনঅভ্যুত্থানের মূল কারণ উল্লেখ করেন এই ডেপুটি স্পিকার বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় সেদিন যদি পাকিস্তানের শাসন গোষ্ঠী জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে প্রধান আসামি না করতেন তা হলে গনঅভ্যুত্থান হতো না।  স্বাধীনতার এত জোরদার হতো না। এটাই বাস্তব। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অনেকেই মারা গিয়েছেন। কিন্তু এখনও আরও যে কজন বেঁচে আছেন। বেঁচে থাকা এই কজনকে জাতীয় সম্মাননা দেয়া যেতে পারে।

সভায় সাবেক ডেপুটি স্পিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল শওকত আলীর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, কর্নেল সামছুল আলম,  মাজেদা শওকত, আজিজুর রহমান প্রমুখ।

 

এএইচএস/ একেএস