• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০১৯, ০৯:১২ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৪, ২০১৯, ০৯:১২ এএম

পদক থেকে প্রাপ্ত পুরো টাকাই অনুদান দিলেন কবির বিন আনোয়ার

পদক থেকে প্রাপ্ত পুরো টাকাই অনুদান দিলেন কবির বিন আনোয়ার


ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে উল্লেখযোগ্য ও প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দুই ক্যাটাগরিতে ‘জনপ্রশাসন পদক-২০১৮’ অর্জন করেছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব কবির বিন আনোয়ার। আর পদক থেকে প্রাপ্ত পুরো অর্থই তিনি অনুদান হিসেবে দিয়ে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। 

পদক গ্রহণের পর এক প্রতিক্রিয়ায় কবির বিন আনোয়ার তাঁর ফেসবুক ওয়ালে জানিয়েছেন, “দুই ক্যাটাগরিতে ‘জনপ্রশাসন পদক ২০১৮’ হতে প্রাপ্ত এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা পথ শিশুদের নিয়ে পরিচালিত মজার স্কুল, সিরাজগঞ্জ প্রতিবন্ধী স্কুল এবং ইসাবেলা ফাউন্ডেশনকে অনুদান হিসেবে প্রদান করতে চাই। এই দুটি পদক আমি আমার বাবা ও মা কে উৎসর্গ করছি।”

আজ সোমবার (২৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই পদক ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস’ উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

কবির বিন আনোয়ার ১৯৬৪ সালের ২২ মে (রবিবার), বাংলা ১৩৬২ সালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় নানার বাড়িতে দুপুর ৩ টার দিকে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আনোয়ার হোসেন রতু সিরাজগঞ্জ মহকুমা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একাধারে ২২ বছর দায়িত্ব পালন করেন। মা সৈয়দা ইসাবেলা একাধারে কথাসাহিত্যিক, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, শিক্ষক।       
১৯৮৮ তে সিভিল সার্ভিসে (প্রশাসন) (৭ম ব্যাচ) যোগদান। একযুগ মাঠ পর্যায়ে, অর্ধযুগ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ৩ বছর নেদারল্যান্ডস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রথম সচিব হিসেবে অতঃপর রাঙামাটি বরকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার। পরবর্তী সময়ে অর্থ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মহা পরিচালক (প্রশাসন) ও একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এর প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে কর্মরত আছেন।

এছাড়াও তিনি আঞ্জুমান মুফিদুল ইসলাম সিরাজগঞ্জ জেলা শাখা, সাঁকো প্রতিবন্ধী স্কুল সিরাজগঞ্জ এবং জুয়েল অক্সফোর্ড স্কুল সিরাজগঞ্জ এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপালনরত। পথশিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মজার ইশকুল এর পৃষ্ঠপোষক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।

আরআই