• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০১৯, ০৪:৫৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৫, ২০১৯, ০৪:৫৩ পিএম

এফআর টাওয়ারের দুর্নীতির মামলায় আসামি ২৫

এফআর টাওয়ারের দুর্নীতির মামলায় আসামি ২৫
বনানীর এফ আর টাওয়ার

বনানীর এফআর টাওয়ার নির্মাণে দুর্নীতি ঘটনায় রাজউকের প্রাক্তন চেয়ারম্যান হুমায়ূন খাদিম, টাওয়ারের মালিক এসএম ফারুক, রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মুকুলসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদকের উপ-পরিচালক আবু বকর সিদ্দিকি বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সংস্থাটির জনসংযোগ দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, অবৈধ নকশায় ১৫ থেকে ২৩ তলা পর্যন্ত বনানীর এফ আর টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। ১৫ তলা নকশার অনুমোদনেও মানা হয়নি কোনো নীতিমালা। নেই ফায়ার সার্ভিস, পরিবেশ অধিদপ্তর ও সিভিল অ্যাভিয়েশনের অনুমোদন। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কাছে ১৮ থেকে ২৩ তলা নির্মাণের কোনো তথ্যই নেই। জমির মালিক ও ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি প্রশাসনের নাকের ডগায় নিজ সিদ্ধান্তে নির্মাণ করেছে বাকি ৫ তলা। যারা আসামি হয়েছেন তারা ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৮ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন।

প্রথম ধাপে ১৯৯৬ সালের নভেম্বরে সিভিল অ্যাভিয়েশনের শর্তসহ বিভিন্ন কারণে নকশা অনুমোদন না দিয়ে এফ আর টাওয়ার কর্তৃপক্ষকে ফিরিয়ে দিলেও পরবর্তী সময়ে ওই একই বছরের ডিসেম্বরে অদ্ভুত অজুহাতে ১৮ তলার অনুমোদন দেয় রাজউক কর্তৃপক্ষ। অনুমোদন ফাইলে নোট ছিল, আশাপাশের যেহেতু ১৮ তলা আছে তাই নকশা অনুমোদন দেয়া যায়। ফাইলে কাগজপত্র ছিল সবই ভুয়া। নেয়া হয়নি স্টেট শাখার অনুমোদনও।

এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ জানিয়েছিলেন, এফআর টাওয়ারের অনিয়মের সঙ্গে কারা জড়িত, সেটা আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসছে এবং বেরিয়ে আসবে। এদের ক্ষমা হবে না। দোষীরা দুদক থেকে ছাড়া পাবে না।

অগ্নি দুর্ঘটনার পরপরই বনানীর এফ আর টাওয়ারের নকশা অনুমোদনে জমির মালিক এস এম এইচ আই ফারুক হোসেন ও রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল, কাশেম ড্রাইসেল ব্যাটারির মালিক ও এফ আর টাওয়ারের বর্ধিত অংশের মালিক তাসভির উল ইসলাম এবং রাজউকের সংশ্লিষ্ট ইমারত পরিদর্শকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।

ফারুক হোসেন ১৯৯৬ সালে তার মালিকানাধীন ১০ কাঠা জায়গাতে ১৮ তলা ভবন নির্মাণের জন্য রাজউকে আবেদন করেন। সে অনুসারে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে ২০০৩ সালে রাজউক অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণের জন্য ফারুক হোসেন মালিকের ৪৫ শতাংশ ও ডেভলপারের ৫৫ শতাংশ হিসেবে রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীর সঙ্গে রাজউকের মাধ্যমে আমমোক্তারনামা চুক্তি করেন। কিন্তু ২০০৫ সালে ভবনের মালিক ফারুক হোসেন কর্তৃক রাজউক অনুমোদিত নকশায় ২৩ তলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে মর্মে রাজউককে জানানো হয় এবং ২০০৭ সালে বিষয়টি তদন্ত করে অনুমোদিত নকশায় অতিরিক্ত ৫ তলা নির্মাণের প্রমাণ পেয়েও কোনো আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। রাজউকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘুষ নিয়ে অবৈধভাবে নির্মিত অংশ বিক্রির অনুমোদন দিলে কাশেম ড্রাইসেল ব্যাটারির মালিক তাসভির উল ইসলাম ক্রয় করেন। গত ২৮ মার্চ দুপুরে বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লাগে। এতে নিহত হয়েছেন ২৭ জন।


এইচ এম/একেএস