• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৫, ২০১৯, ০৭:২৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৫, ২০১৯, ০৭:৪৫ পিএম

ডিআইজি মিজানের বরখাস্তের ফাইল যাচ্ছে বঙ্গভবনে

ডিআইজি মিজানের বরখাস্তের ফাইল যাচ্ছে বঙ্গভবনে
ডিআইজি মিজান

পুলিশের আলোচিত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান বরখাস্তের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। দু’এক দিনের মধ্যেই তার ফাইল যাচ্ছে বঙ্গভবনে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর মিজানুর রহমান সাময়িক বরখাস্ত থাকলেও তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ মিথ্যে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি আর চাকরিতে ফিরতে পারছেন না। আর অভিযোগ প্রমাণিত হলে স্থায়ীভাবে চাকরি হারাবেন তিনি। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি,একজন সাংবাদ পাঠিকা এবং তার স্বামী ও দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র সাংবাদিককে হত্যার হুমকিসহ বেশ কিছু অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ার পর তাকে তার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এসব ঘটনার মহানায়ক মিজানুর রহমান সাম্প্রতিক সময়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক কর্মকর্তাকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেয়ার কথা গণমাধ্যমে জানিয়ে আবারো আলোচনায় আসেন। গত ১৯ জুন মিজানুর রহমানের স্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং ব্যাংক হিসাবের লেনদেন বন্ধ করার নির্দেশ দেন আদালত। সোমবার (২৪ জুন) তার বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। দুদকের ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে তার বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা, ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, ডিআইজি মিজানুর রহমানকে বরখাস্ত করা সংক্রান্ত সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন এ ফাইল রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য বঙ্গভবনে পাঠানো হবে। দু’এক দিনের মধ্যেই এই ফাইল পাঠানো হচ্ছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা দৈনিক জাগরণকে জানান, রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর মিজানুর রহমান সাময়িক বরখাস্ত থাকবেন। বরখাস্ত থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ মিথ্যে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি আর চাকরিতে ফিরতে পারবেন না। আর অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। আর আদালতেও এক সময়ে দুদকের দায়ের করা মামলার বিচারকার্য চলবে। দোষী সাব্যস্ত হলে এখানেও তাকে সাজা পেতে হবে। সুতরাং তিনি যে স্থায়ীভাবে চাকরি হারাচ্ছেন, এটা প্রায় নিশ্চিত। 

এমএএম/বিএস