• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৭, ২০১৯, ০৪:৫৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৭, ২০১৯, ০৫:৩৯ পিএম

গণপূর্তমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

‘রাজউক থেকে দুর্নীতিবাজদের বের করে দেয়া হবে’

‘রাজউক থেকে দুর্নীতিবাজদের বের করে দেয়া হবে’
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রাজউক থেকে দুর্নীতিবাজদের বের করে দেয়া হবে। তিনি বলেন, রাজউককে একটি ইমেজের জায়গায় আনার জন্য চেষ্টা করছি। শরীরের কোনও স্থানে সমস্যা হলে অপারেশন করতে হয়, তখন একটু কষ্ট হয়। বৃহৎ স্বার্থে অপারেশন করতে হয়।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে রাজউক ভবনে ’সেবা সপ্তাহ’র সমাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত একটি আলোচন সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী বলেছেন, সরকার রাজউককে জনবান্ধব, স্বচ্ছ, দীর্ঘসূত্রিতামুক্ত একটি আধুনিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে কাজ করছে। রাজউককে বিকেন্দ্রীকরণ করার কথা ভাবছি। এত বড় ঢাকায় একটি রাজউকে বসে সবকিছু পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। রাজউকের সব জোনকে শক্তিশালী করতে চাই। স্তরভিত্তিক পরিসর বাড়ার কারণে রাজউককে বিকেন্দ্রীকরণের বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী বিকেন্দ্রীকরণের পক্ষে। এটা সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে রাজউকের কেন্দ্রীকতা বিকেন্দ্রীকতায় পরিণত হবে, যাতে মানুষ সেবা পেতে পারে। 

রাজউকের ব্যাপক পরিবর্তনের জোয়ার এসেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এই পরিবর্তনকে ধরে রাখতে হবে। সেবা প্রার্থীদের জিজ্ঞেস করে জানতে পেরেছি তারা হয়রানি হননি, সেবা পেতে কাউকে টাকা দিতে হয় নি। এই পরিবর্তনকে আরো বেগবান করতে চাই। স্বচ্ছতা, সততা, ন্যায়নিষ্ঠতার কোনো বিকল্প নাই। এটিকে ধারণ করতে হবে। ক্ষুদ্র অংশ যাদের কারণে অভিযোগ আসে তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। ভালো অর্জনের ভেতরে যারা দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে তাদেরকে বিদায় করে দেবো, তাদের রাজউকে দরকার নেই। এত পরিশ্রমের রাজউক ১/২ জন ব্যক্তির জন্য নষ্ট হয়ে যাবে, তা হবে না। দুর্নীতিবাজদের বের করে দেয়া হবে।

সাধারণ মানুষদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘রাজউককে সাহায্য করুন। গতানুগতিকভাবে রাজউকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন না। রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনেক সীমাবদ্ধতা ও প্রতিকূলতার মধ্যে যেভাবে কাজ করছেন, এটা প্রশংসার দাবি রাখে। রাজউক এর সেবাটাও দেখুন। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা কাউকে ছাড় দিতে চাই না। দুর্নীতি কোনভাবে চলতে দেয়া যাবে না।’

সাংবাদিকদের  উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘একটি রিপোর্ট করার পূর্বে একটু খতিয়ে দেখুন, রাজউক তার নৈমিত্তিক কাজের বাইরে এবং গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে পূর্বের চেয়ে গতিশীল হয়ে কাজ করছে কি না? কোন বিষয়ে অস্পষ্টতা থাকলে রাজউকের চেয়ারম্যান, সদস্য প্রয়োজনে আমাকে জিজ্ঞেস করুন। আমরা কৈফিয়ত দেবো। আমাদেরকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে প্রতিবেদন করলে ভালো হয়। আমি চাই না আমার বিরুদ্ধে, মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে, রাজউকের বিরুদ্ধে কেউ রিপোর্ট করবেন না। তবে এটা চাই রিপোর্টের সারবস্তু, তথ্য ও ভিত্তি থাকে। অনিয়ম হলে অবশ্যই রিপোর্ট করবেন, ব্যবস্থা নেবো।

সভাপতির বক্তব্যে রাজউক এর চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদ বলেন, ‘রাজউকের জনবল কম থাকা সত্ত্বেও সেবা প্রদান কার্যক্রম আগের চেয়ে অনেক বেগবান হয়েছে। স্বল্প সময়ে কোন রকমের হয়রানি ছাড়াই সেবাগ্রহিতারা সেবা পেতে পারেন সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সেবাপ্রত্যাশীদের নিকট থেকে অনেক মতামত ও পরামর্শ এসেছে। ভবিষ্যতে তাদের মতামত ও পরামর্শ মোতাবেক সহজে ও দ্রুত সময়ে সেবা প্রদানের চেষ্টা করব। 

রাজউক এর চেয়ারম্যান ড. সুলতান আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্য আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স এর সভাপতি প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট এর সভাপতি স্থপতি জালাল আহমেদ এবং ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ এর সভাপতি প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর। এছাড়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন রাজউকের সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) মো. আমজাদ হোসেন খান।

আরএম/টিএইচ/টিএফ