• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুন ২৯, ২০১৯, ০৯:১৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৯, ২০১৯, ০৯:১৭ পিএম

তরুণদের সঙ্গে মতবিনিময়ে যা বললেন আওয়ামী লীগ নেতারা 

তরুণদের সঙ্গে মতবিনিময়ে যা বললেন আওয়ামী লীগ নেতারা 

দেশের তরুণ সমাজের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতারা।  ‘গৌরবের অভিযাত্রায় ৭০ বছর, তারুণ্যের ভাবনায় আওয়ামী লীগ’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানে তরুণরা দলটির নেতাদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে খোলামেলা আলোচনা করেছেন। 

শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমীতে ওই মতবিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
   
অনুষ্ঠানে দেশের বর্তমান সময়ের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট নিয়ে তরুণদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন আওয়ামী লীগ নেতারা। আওয়ামী লীগের নেতারাও দেশের বর্তমান তরুণ সমাজের কাছ থেকে দেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতামত নেন। তরুণদের প্রশ্নের মধ্যে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমল সুশাসন বাস্তবায়ন, নারীর ক্ষমতায়নে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম, তরুণ সমাজের রাজনীতিতে আগমন ও বর্তমান ছাত্ররাজনীতিতে করণীয়, পিছিয়ে পরা তরুণ সমাজের জন্য আওয়ামী লীগের ভূমিকা, শিক্ষা গবেষণায় আওয়ামী লীগ সরকারের কার্যক্রম, আওয়ামী লীগ কি সমাজতন্ত্র থেকে সরে এসেছে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম নিয়ে আলোচনা, আইসিটি খাতে তরুণদের করণীয়সহ বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের প্যানেলে ছিলেন-  দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ,  ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার মাহমুদ, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দলের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী অধ্যাপক মেরিনা জাহান। 

মতবিনিময় অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন- ব্যারিস্টার শাহ আলী ফারহাদ। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার উপ কমিটির চেয়ারম্যান এইচটি ইমাম।
  
অনুষ্ঠানের শুরুতে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, অনেক আগেই আমাদের জাতিসত্তা সৃষ্টি হয়েছিলো কিন্তু আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় অর্জন সেখান থেকে জাতিরাষ্ট্রের জন্ম দেয়া। 
দেশে প্রচলিত অনলাইন নিউজপোর্টাল গুলোকে দ্রুত নিবন্ধন সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নিবন্ধন সম্পন্ন হলে বৈধ অনলাইনের তালিকা প্রকাশ করা হবে। আমরা সমস্ত অনলাইনগুলোকে রেজিস্ট্রেশনের জন্য ৩০ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছি। এরপর তথ্য মন্ত্রণালয়, আইসিটি মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে বৈধ অনলাইন পত্রিকার তালিকা প্রকাশ করবো। তবে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম। নয় কোটির বেশি মানুষ ব্যবহার করে। কেউ যদি গুজব ছড়ায়, সেগুলো প্রতিরোধ করা, বা কিভাবে সঙ্গে সঙ্গে সেইগুলো সরিয়ে দেওয়া যায়,তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এজন্য একটি আইন করা হয়েছে। ওই আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগ কি সমাজতন্ত্র থেকে দূরে সরে যাচ্ছে এমন এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন,  ‘সমাজতন্ত্র হচ্ছে সবার জন্য ন্যায় বিচার ও সাম্য প্রতিষ্ঠা। সে ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বহু দূর এগিয়েছে।’
 
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের শিকড়ের সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত ভারতের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা করে সস্তা রাজনীতি করছে। তিনি আরও বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত আমাদের শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে নানা ভাবে সহযোগিতা করেছে। শুধু তাই নয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের শরনার্থীদের খাওয়া-দাওয়ার খরচ মেটাতে তৎকালীন ভারত সরকার ভ্যাটের পরিমাণ বাড়িয়ে আমাদের সাহায্য সহযোগিতা অব্যহত রেখেছিলো।
 
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে নিয়ে আসা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি বঙ্গবন্ধু খুনিদের মধ্যে ৬ জনের রায় কার্যকর করা যায়নি। একজন বিদেশে থেকেই মারা গেছে। আর বাকিদের মধ্যে ২ জনের অবস্থান নিশ্চিত করেছি। এর ৩ জনের অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে বলেছি, আমি যতটুকু কাজ করি না কেনো বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে এই দুজনকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচার না করতে পারলে নিজেকে ব্যর্থ মনে করবো। তাই আশা করছি তাদেরকে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে।
 
আনুষ্ঠানের শুরুতে আওয়ামী লীগের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস নিয়ে একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এএইচএস/বিএস