• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০১৯, ০৭:০৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৩, ২০১৯, ০৭:০৫ পিএম

প্রেস বিফ্রিংয়ে আইনমন্ত্রী

মামলাজট কমাতে সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাই

মামলাজট কমাতে সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাই
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক-ফাইল ছবি

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মামলাজট একটি বড় সমস্যা। এ সমস্যা কাটিয়ে ওঠার জন্য সরকার নানাভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, মামলাজট সমস্যাটা এক সময় সিঙ্গাপুরেও ছিল এবং সেটা তারা অত্যন্ত সুচিন্তিতভাবে সমাধান করেছেন। দেশের মামলাজট কমাতে আমরা সিঙ্গাপুরের সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারি। কারণ তারা যেসব পদক্ষেপ নিয়ে মামলার জট কমিয়েছেন, তার অনেকগুলো পদক্ষেপই আমাদের দেশে গ্রহণ করা সম্ভব এবং সেটা অত্যন্ত বাস্তবসম্মত। 

আইনমন্ত্রী বলেন, হাইকমিশনার জানিয়েছেন ওখানে (সিঙ্গাপুরে) মানব সম্পদের সমস্যা থাকার কারণে তাদের পক্ষে বাংলাদেশে এসে এক্সপার্টিজ শেয়ার করা কষ্টকর। তাই আমাদেরই সিঙ্গাপুরে গিয়ে তাদের এক্সপার্টিজ গ্রহণ করতে হবে। এটা প্রশিক্ষণ হিসেবে গ্রহণ করা যেতে পারে।

বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নিজস্ব আবাসিক অফিসে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে আইনমন্ত্রী এসব কথা জানান।

এর আগে বাংলাদেশের জন্য নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লোহর সাথে সৌজন্য বৈঠকে মিলিত হন তিনি। প্রায় দেড়ঘন্টা বৈঠক করেন তারা। পরে বৈঠকের বিষয়ে নিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা মূলত দুইটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। তার একটি হলো আইন সংক্রান্ত এবং অন্যটি বিনিয়োগ সংক্রান্ত।

সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহের কথা জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ী মহল আমাদের দেশে বিনিয়োগে অত্যন্ত আগ্রহী। বৈঠকে তাদের হাইকমিশনার বলেছেন, বাংলাদেশের বিনিয়োগ সম্পর্কিত আইন ও পরিবেশ তাদের দেশের বিনিয়োগকারীদের জন্য অনুকূলে। তাই সে দেশ থেকে প্রচুর বিনিয়োগ এ দেশে আসছে।

আনিসুল হক বলেন, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য আমরা অনেক বিনিয়োগ-বান্ধব আইন করেছি এবং প্রয়োজন হলে আরও করা হবে। বিনিয়োগকারী বিদেশি কোম্পানিগুলো কেবল বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেই ১০০ শতাংশ মুনাফা নিয়ে যেতে পারেন, যেটি আর কোনও দেশে নেই। অনেক সুযোগ-সুবিধা মেলে আমাদের দেশে বিনিয়োগ করলে। হাইকমিশনারও এটা স্বীকার করেছেন। তারপরেও এই উন্নত-প্রযুক্তির যুগে বিনিয়োগের পরিবেশ আরও উন্নত করতে প্রয়োজন হলে আমরা সংবিধানের মধ্যে থেকে আইন পরিবর্তন, পরিবর্ধন কিংবা সংশোধন করবো। তার কারণ আমরা বাংলাদেশে আরও বিনিয়োগ চাই।

আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সেদেশের হাইকমিশনারকে বলেছি, এসব কাজ করতে গেলে সিঙ্গাপুরের হাইকমিশন অফিস ঢাকাতেই অবস্থিত হওয়াটাই সমীচিন। এর জবাবে হাইকমিশনার বলেন, তিনি সিঙ্গাপুরে ফিরে গিয়ে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে এই ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা করবেন। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে আকাঙ্খা সেটি বাস্তবায়নে সিঙ্গাপুর আমাদের পাশে থাকবে বলেও জানান আইনমন্ত্রী।

আলোচিত রিফাত হত্যা মামলার সর্বশেষ বিচারিক প্রক্রিয়া জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, নুসরাত হত্যা মামলার বিচার কাজ যেভাবে শুরু হয়েছে ঠিক সেভাবেই আলোচিত সব মামলার বিচারিক কার্যক্রম অতিদ্রুত শুরু হবে। এসব মামলার পুলিশ প্রতিবেদন পাওয়ামাত্র বিচারিক কাজ শুরু করার জন্য প্রোসিকিউশন সার্ভিসকে এরইমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।  

বৈঠকে বিনিয়োগ, সম্পর্কোন্নয়নের বিভিন্ন উপাদান, বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুরের আইনসংক্রান্ত বিষয়, সেগুলোর আধুনিকায়ন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীসহ বিভিন্ন বিষয়েই আলোচনা হয়েছে বলে জানান হাইকমিশনার।

টিএইচ/এসএমএম

আরও পড়ুন