• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৭, ২০১৯, ০৮:৪৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৭, ২০১৯, ০৮:৪৯ পিএম

ঢাকায় রিকশা-ভ্যান শ্রমিক লীগের সমাবেশ ১১ জুলাই 

ঢাকায় রিকশা-ভ্যান শ্রমিক লীগের সমাবেশ ১১ জুলাই 
ঢাকার তিন সড়কে বন্ধ রিকশা চলাচল- ফাইল ছবি

কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়া ঢাকার তিনটি সড়কে রিকশা চলচাল বন্ধ করার প্রতিবাদে আগামী ১১ জুলাই জাতীয়  প্রেসক্লাবে সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাতীয় রিকশা-ভ্যান শ্রমিক লীগ। 

রোববার (০৭ জুলাই) এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন রিকশা ভ্যান শ্রমিক লীগের  সাধারণ সম্পাদক মো. ইনসুর আলী। 
 
রাজধানীর তিনটি সড়কে রিকশা,ভ্যানসহ অনুমোদনবিহীন অন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সরকার বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না করে রিকশা তুলে দেয়ার তীব্র সমালোচনা করেছে জাতীয় রিকশা ভ্যান শ্রমিক লীগ। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বলেছেন ‘রাস্তা থেকে রিকশা সরলেও চালকরা সরবে না। বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না করে রিকশা বন্ধ করা যাবে না।
 
রোববার সকাল থেকে রিকশা না পেয়ে অনেক স্থানে ভোগান্তিতেও পড়েছেন অনেক যাত্রী। বিশেষ করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী এবং অফিসগামী যাত্রীরাই বেশি দুর্ভোগে পড়েন। রিকশা না পেয়ে অনেকেই পায়ে হেঁটে নিজ নিজ গন্তব্য পৌঁছান। 

রিকশা বন্ধ হওয়া সড়ক তিনটি হলো- গাবতলী থেকে মিরপুর রোড হয়ে আজিমপুর ও সায়েন্সল্যাব থেকে শাহবাগ পর্যন্ত এবং কুড়িল থেকে বাড্ডা, রামপুরা, খিলগাঁও হয়ে সায়েদাবাদ পর্যন্ত। এখানকার প্রধান সড়কে এ ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দেয়া হচ্ছে না। মোড়ে মোড়ে সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। স্থানীয় থানা পুলিশ এ অভিযানে সহায়তা করছে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তাও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান বলেন, আমরা রাস্তায় কাজ করছি। প্রধান রাস্তায় কোনো রিকশা ঢুকতে দিচ্ছি না।সিটি করপোরেশনের বেশ কয়েকটি টিম কাজ করছে। তারা পৃথক পৃথকভাবে রাস্তার মোড়ে মোড়ে দায়িত্ব পালন করছে। কোনো রিকশাকেই প্রধান রাস্তায় আসতে দেয়া হচ্ছে না। মাইকিং করেও রিকশা চালকদের সতর্ক করা হচ্ছে।

জাতীয় রিকশা ভ্যান শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইনসুর আলী জানান, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা আগেও বলেছি রাজধানী থেকে রিকশা তুলে দেয়ার দরকার নেই শুধু অবৈধ রিকশা বন্ধ করলেই সমস্যার সমাধান হবে।

তিনি আরো বলেন, দুই সিটিতে মোট ৮৮ হাজার বৈধ রিকশা আছে। এই বৈধ রিকশা রাস্তায় চলছে এগুলো চোখেও পড়বে না। আমরা চাই অবৈধ রিকশা উচ্ছেদ হোক। মাথা ব্যথার জন্য মাথা কেটে ফেলা কোনো সমাধান নয়। রিকশার জন্য রাস্তায় আলাদা লেন করারও দাবি জানান এই নেতা।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ারের নেতৃত্বে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রগতি সরণির কুড়িল বিশ্বরোড থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত ফুটপাত ও সড়ক থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।  

টিএইচ/বিএস 
 

আরও পড়ুন