• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৮, ২০১৯, ০৫:১৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৮, ২০১৯, ০৫:৩৪ পিএম

রাখাইন প্রদেশকে ‘না’ বললেন প্রধানমন্ত্রী

রাখাইন প্রদেশকে ‘না’ বললেন প্রধানমন্ত্রী
সংবাদ সম্মেলন বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-বিটিভি ওয়ার্ল্ড থেকে নেয়া

মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশকে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত করা বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেস ম্যান শ্যারনের প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আমাদের যে সীমানা আছে আমরা এতেই খুশি। অন্যের প্রদেশ আমরা কখনই নিবো না। এ ধরনের প্রস্তাব অত্যন্ত গর্হিত কাজ। হতে পারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বড় দেশ। তাই বলে অন্যকোনও দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে কথা বলা উচিত নয়। আমরা আমাদের মতো থাকতে চাই। তিনি বলেন, তারা ( যুক্তরাষ্ট্র) যেখানে হাত দিয়েছে সেখানেই আগুন জ্বলেছে। জঙ্গিবাদ সৃষ্টি হয়েছে। কোনও জায়গায় শান্তি আসে নাই। তাছাড়া রাখাইনে সব সময় গোলমাল লেগেই আছে। দেখে- শুনে একটা গোলেমেলে জিনিস আমাদের সঙ্গে যুক্ত করতে চাই না।

চীনে পাঁচ দিনের দ্বিপক্ষীয় সরকারি সফরের বিষয়ে সোমবার (৮ জুলাই) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বিকালে ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে চীন সফরের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

পাঁচ দিনের সফরে গত ১ জুলাই চীনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরে গিয়ে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি চীনের দালিয়ান শহরে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) বার্ষিক সভায় যোগদান করেন এবং ‘কো-অপারেশন ইন দ্য প্যাসিফিক রিম’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।

চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য মিয়ানমারকে বোঝানোর বিষয়ে ঢাকাকে আশ্বস্ত করে বেইজিং। দীর্ঘায়িত রোহিঙ্গা সমস্যা দ্রুত সমাধানের বিষয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে একমত পোষণ করে চীনা প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতে কোনও সন্দেহ নেই, এটা (রোহিঙ্গা সমস্যা) বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। তিনি এই সমস্যার দ্বিপক্ষীয় সমাধানের পক্ষে নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করে এ বিষয়ে চীনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার কথাও উল্লেখ করেন।

বেইজিংয়ে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির প্রধান সং তাওয়ের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের বিষয়ে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচি ও মিয়ানমারের অন্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন সিপিসির এই নেতা।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সংক্রান্ত নয়টি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। গত ৪ জুলাই চীনা প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন সিপিসির কার্যালয় গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হয়। এর মধ্যে রয়েছে- রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তার জন্য এলওসি (লেটার অব এক্সচেঞ্জ) এবং অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা, বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ, সংস্কৃতি এবং পর্যটন সংক্রান্ত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক।

জেডএইচ/এসএমএম

আরও পড়ুন