• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০১৯, ০৬:৩০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ৯, ২০১৯, ০৬:৩০ পিএম

স্বীকার করলেন মেয়র খোকন

মশার ওষুধের কার্যকারিতা খুব একটা নেই  

মশার ওষুধের কার্যকারিতা খুব একটা নেই  
সাঈদ খোকন - ফাইল ছবি

মশার ওষুধে ভেজাল না থাকলেও এর কার্যকারিতা খুব একটা নেই বলে স্বীকার করে নিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন। তিনি বলেছেন, মশার যে ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। সেটার কার্যকারিতা খুব একটা নেই। আমরা যে ওষুধগুলো ব্যবহার করে থাকি সেটা ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) কর্তৃক প্রেসক্রিপশন করা। সুতরাং যদি ওষুধ পরিবর্তন করতে হয় তাদের অনুমোদন নিয়ে করতে হবে। ওষুধ পরিবর্তন করতে একটু সময় লাগবে। আর নতুন ওষুধ না আসা পর্যন্ত আমাদের হাতে যা আছে, তাই দিয়ে মশাকে দুর্বল করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে।

আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে নগরীর সুশৃঙ্খল গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

সাঈদ খোকন বলেন, এই সময়ের মধ্যে আমাদের বর্তমান যে ওষুধগুলো রয়েছে, যেগুলো আমরা কিনেছি সেগুলোই ব্যবহার করা ছাড়া বিকল্প কিছু নেই। যদিও এই ওষুধগুলোর কার্যকারিতা কিছুটা কম, কিন্তু তারপরেও হচ্ছে, ‘একেবাবে জিরো’ এ রকম নয়। যতটুকু হওয়ার কথা ততটুকু না। ওষুধের মধ্যে কোনো ভেজাল নেই, কার্যকারিতা কিছুটা কমে গেছে।

এ বছর ডেঙ্গুর মাত্রা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কিছটা বেশি। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখনও আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। মেয়র আশা প্রকাশ করে বলেন, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যা যা করণীয় তা করা হচ্ছে। 

তিনি বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ থাইল্যান্ডে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সময়ে ২৮ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে এবং ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সিঙ্গাপুরে ৬ হাজার ২২১ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে, যা ৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। দিল্লি শহরেও ঢাকা থেকে অনেক বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। তুলনামূলকভাবে আমরা ডেঙ্গুর হাত থেকে তাদের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছি।

সাঈদ খোকন বলেন, ঢাকা শহরে যারা ডেঙ্গু রোগী আসছেন তারা সারা বাংলাদেশ থেকে আসছেন। তারা কেবল ঢাকা উত্তর কিংবা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের রোগী নয়, সারা দেশের রোগী।

তিনি বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সারা বাংলাদেশ থেকে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে আসছেন এমন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ১০০ এর বেশি। এসব রোগী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৮৭৫ জনের বেশি রোগী এরইমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে দুজনের মূত্যু হয়েছে। আরেকটি মুত্যুর কথা শোনা যায়, একজন ডাক্তার, যিনি তিনবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানা গেছে। এই রকম একটা পরিসংখ্যান কোনোভাবেই প্রমাণ করে না যে ডেঙ্গু ব্যাপকতা ছড়িয়েছে। এই কথা আমরা বলতে পারি না।

মেয়র বলেন, ডেঙ্গুর ব্যাপকতা ‍ছড়িয়ে পড়লে অব্যশই সেটা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সিটি করর্পোরেশনের ঝাঁপিয়ে পড়ত। আমরা যেসব ব্যবস্থা হাতে নিয়েছি, তাতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। ভয় কিংবা আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু হয়নি। ঢাকা দক্ষিণ সিটি সব সময় ডেঙ্গুর বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখছে।

তিনি বলেন, আগামী ১৫ জুলাই থেকে ৪৫০টি ভ্রাম্যমাণ মেডিক্যাল টিম প্রতিটি ওয়ার্ডে থাকবে। বিনামূল্য চিকিৎসা দেয়া হবে, ওষুধ দেয়া হবে। একটি হটলাইন চালু করা হবে। ওই নম্বরে ফোন করা হলে মেডিকেল টিম বাসায় চলে যাবে। কোনো নাগরিক ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে সংকটাপন্ন হলে প্রয়োজনে ডিএনসিসির উদ্যোগে তাকে বিদেশে পাঠানো হবে।

টিএইচ/ এফসি

আরও পড়ুন