• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১১, ২০১৯, ০৮:২৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১১, ২০১৯, ০৮:২৭ পিএম

বিকল্প ব্যবস্থা না করে রিকশা বন্ধ করা উচিৎ নয় :বিআইপি

বিকল্প ব্যবস্থা না করে রিকশা বন্ধ করা উচিৎ নয় :বিআইপি
বি আই পি’র সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা- ছবি: জাগরণ

বিকল্প ব্যবস্থা ছাড়া রিকশা বন্ধ করা উচিত নয় বলে মত দিয়েছে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বীর উত্তম সি আর দত্ত রোডে বিআইপির কনফারেন্স হলে ‘ঢাকা শহরে রিকশা ও অযান্ত্রিক বাহনের চলাচল সম্পর্কে নগর পরিকল্পনার দৃষ্টিকোণ থেকে করণীয়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনাবিদরা এসব কথা বলেন।

বিআইপির সভাপতি এ কে এম আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক ড. আদিল মোহাম্মদ খান, সহ-সভাপতি আক্তার মাহমুদ, বুয়েটের অঞ্চল ও নগর পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক মুসলে উদ্দিন, ওয়ার্ক ফর বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর কর্মসূচি ব্যবস্থাপক মো. মারুফ হোসেন, ইউএন-হ্যাবিটেট এর নগর পরিকল্পনা বিশেষজ্ঞ পরিকল্পনাবিদ মো. সোহেল রানা প্রমুখ।

পরিকল্পনাবিদরা আরো বলেন, রিকশায় প্রতিদিন ট্রিপ পড়ে ২৫-৩০টি। গড়ে ৪০জন যাত্রী প্রতিদিনই যাতায়াত করে। অন্যদিকে প্রাইভেটকারে প্রতিদিন যাতায়ত করে ২-৪জন যাত্রী। যা রিকশা চেয়ে সড়ক দখল করে বেশি। আর রিকশায় পরিবেশ দূষণ হয় না, প্রাইভেট কারে পরিবেশ দূষণ হয়, প্রাইভেট কার চলাচল নিয়ন্ত্রণ করুন। একইসঙ্গে সড়কে বিকল্প গনপরিবহনের ব্যবস্থা করতে হবে। 

বক্তরা বলেন, গাবতলী-আজিমপুর সড়কের আশপাশের ওয়ার্ডসমূহে আবাসিক এলাকা ৩৯ ভাগ। জনসংখ্যা ১৫ লাখ, প্রতি একরে জন ঘনত্ব ৬৬০জন। আর কুড়িল-সায়েদাবাদ সড়কের আশপাশের ওয়ার্ড সমূহে আবাসিক এলাকা ৫৭ ভাগ। জনসংখ্যা ২১ লাখ, প্রতি একরে জন ঘনত্ব ৫৩০ জন। একইসঙ্গে গাবতলী-আজিমপুর সড়কের ২০০ মিটার পরিসেবায় আবাসিক এলাকা ৩৩ ভাগ। আর কুড়িল-সায়েদাবাদ সড়কের ২০০ মিটার পরিসেবায় আবাসিক এলাকা ৫৮ ভাগ। গাবতলী-আজিমপুর সড়কের চেয়ে কুড়িল-সায়েদাবাদ সড়কের আশপাশে জন ঘনত্ব বেশি। এই সড়কে গণপরিবহনও কম। সুতারাং বিকল্প ব্যবস্থা না করে রিকশা বন্ধ করা ঠিক হবে না। 
টিএইচ/বিএস 
 

আরও পড়ুন