• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০১৯, ০৭:৪৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৬, ২০১৯, ০৭:৪৬ পিএম

প্রধানমন্ত্রী বরাবর এনসিবির স্মারকলিপি

প্রধানমন্ত্রী বরাবর এনসিবির স্মারকলিপি

খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে মৃত্যুদণ্ডের আইন বাস্তবায়নের দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে ন্যাশনাল কংগ্রেস বাংলাদেশ (এনসিবি)। এতে সংগঠনের চেয়ারম্যান ছাবের আহাম্মদ বলেন, টেকসই উন্নয়ন করতে হলে ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধ জরুরি, খাদ্যে ভেজাল রোধে ব্যর্থ হওয়ায় সরকারের সকল উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাচ্ছে।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫-সি ধারায় খাদ্য, পানীয়, ওষুধসহ যাবতীয় ব্যাবহারিক পণ্যে ক্ষতিকর ভেজাল মিশ্রণকারী ও বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ডের যে বিধান রয়েছে ইহা যথাযথ প্রয়োগ না থাকায় দিনের পর দিন খাদ্যে ক্ষতিকর কেমিকেল মিশ্রণ বাড়ছেই।

এতে আরও বলা হয়, নিরাপদ খাদ্য আইন -২০১৩ এবং মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ প্রণয়নের মাধ্যমে লঘু শাস্তি প্রদান করায় প্রচলিত আইন অসাধু ব্যাবসায়ীদের ভীতি সঞ্চারে ব্যর্থ। এরইমধ্যে ভেজাল খাদ্যের প্রভাব দেশে মহামারি আকার ধারণ করেছে। নিরীহ মানুষ অর্থাভাবে কাঙ্খিত সেবা নিতে না পেরে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ছে। পাশাপাশি ভেজাল খাদ্য গ্রহণে রোগাক্রান্ত কিছু সংখ্যক ধনাঢ্য ব্যক্তি প্রচুর অর্থ ব্যয় করে বিদেশে চিকিৎসা নিতে পারলেও এতে জাতীয় অর্থনীতি ধীরেধীরে পঙ্গুত্ব বরণের আশঙ্কা রয়েছে। ভারতে যাবজ্জীবন, পাকিস্তানে ২৫ বছর, যুক্তরাষ্ট্রে সশ্রম কারাদণ্ডের বিধান থাকায় ওইসব দেশগুলিতে ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধ সম্ভব হয়েছে। ভেজাল খাদ্যের কারণে এ দেশে বসবাস অনিরাপদ হয়ে উঠেছে বলেও এরইমধ্যে মন্তব্য করেছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে খাদ্যে ভেজাল রোধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করা আবশ্যক।

সুখী সমৃদ্ধশালী ও মেধা সম্পন্ন জাতি গঠনের লক্ষ্যে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ ও মোবাইল কোর্ট আইন-২০০৯ এ প্রয়োজনীয় সংশোধনী এনে বিশেষ ক্ষমতা আাইন ১৯৭৪ এর ২৫-সি ধারায় বর্ণিত মৃত্যুদণ্ডসহ অন্যান্য বিধি-বিধান সংযোজন ও দ্রুত কার্যকরী করার মাধ্যমে পুষ্টি সম্মত নিরাপদ খাদ্যের দেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে আইন প্রণয়নের জন্য স্মারকলিপিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানানো হয়। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিবির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মো. ইউসুফ আলী চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহফুজা আক্তার বীণা, অতি. মহাসচিব অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান।


টিএস/একেএস

আরও পড়ুন