• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০১৯, ০৯:১৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৬, ২০১৯, ০৯:১৭ পিএম

কোরবানির ঈদ পর্যন্ত সীমান্ত পথে ভারতীয় গরু নয়

কোরবানির ঈদ পর্যন্ত সীমান্ত পথে ভারতীয় গরু নয়
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু

আসন্ন কোরবানির ঈদ পর্যন্ত সীমান্ত পথে বাংলাদেশে গরু আমদানি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য দেশের খামারেই এখন পর্যাপ্ত গরু থাকায় ভারতীয় গরুর প্রয়োজন নেই বলে আন্ত:মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। 

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বলা হয়, কোরবানির ঈদে সম্ভাব্য চাহিদার চেয়ে বেশি গবাদি পশু দেশে রয়েছে। আর সে কারণে ব্যবসায়ী ও খামারিদের স্বার্থে এই সময় ভারত থেকে গরু আনা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা প্রয়োজন। 

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু।  

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১২ অগাস্ট কোরবানির ঈদ হতে পারে। এবার ঈদে ১ কোটি ১০ লাখ পশু কোরবানি হতে পারে বলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মনে করছেন।তারা বৈঠকে জানিয়েছেন, দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা এর থেকেও আট লাখ বেশি রয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানানো হয়, এবার সারা দেশে কোরবানিযোগ্য ৪৫ লাখ ৮২ হাজার গরু-মহিষ, ৭২ লাখ ছাগল-ভেড়া এবং ৬ হাজার ৫৬৩টি অন্যান্য পশুর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

আসন্ন ঈদুল আজহায় ১ কোটি ১০ লাখ পশু কোরবানি হতে পারে। গত বছর ঈদে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৫ লাখ এবং কোরবানি হয়েছিল ১ কোটি ৫ লাখের মতো।

‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সারাদেশে কোরবানিযোগ্য প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ গবাদিপশুর মজুদের পাশাপাশি কোরবানির হাট-বাজারে স্বাস্থ্যসম্মত পশুর সরবরাহ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের যাবতীয় উদ্যোগ নিয়েছে।

বৈঠকে জানানো হয়, ‘ঢাকায় দুই সিটি করপোরেশনের আওতায় ২৪টি স্থায়ী-অস্থায়ী কোরবানির হাটবাজারে ২টি করে ভেটেরিনারি টিম কাজ করবে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় ১৪টি এবং উত্তরের অধীনে ১০টি হাটবাজার বসবে।

এমএএম/বিএস