• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০১৯, ০২:২৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৮, ২০১৯, ০৫:২১ পিএম

ওয়াসার ১১ খাতে দুর্নীতি, প্রমাণ দুদকের হাতে 

ওয়াসার ১১ খাতে দুর্নীতি, প্রমাণ দুদকের হাতে 
ওয়াসা ভবন -ফাইল ছবি

প্রকল্পে ধীরগতির কারণে ব্যয় বৃদ্ধি, কর্মকর্তাদের দীর্ঘদিন একই পদে থাকা এবং নিয়োগে দুর্নীতিসহ ওয়াসার ১১টি খাতে ভয়াবহ দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নজরে এনে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী তাজুল ইসলামের হাতে ওয়াসার এই রিপোর্ট তুলে দেন দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান। 

এলজিআরডি মন্ত্রী এ তদন্ত রিপোর্ট গ্রহণ করে সাংবাদিকদের বলেন, আমি এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর দুর্নীতি খুঁজে ছিলাম। দুদককে ধন্যবাদ, এ ধরণের একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট দেয়ার জন্য। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

দুর্নীতির অভিযোগ জমা দিয়ে দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান সাংবাদিকদের বলেন, স্থানীয় সরকারে অধীনে ওয়াসার ১১টি খাতে আমরা দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছি। সেটার বিষয়ে আমরা বলেছি মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ নিতে। কারণ ওয়াসা সরকারি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে অপচয় করছে। 

১১টি খাতের বিষয়ে জানতে চাইলে দুদক কমিশনার বলেন, ওয়াসার বেশিরভাগ প্রকল্পেই ধীরগতি। অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্প শেষ না হওয়ায় ব্যয় অনেকগুন বেড়ে যায়। ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘ দিন ধরে একই পদে থাকায় দুর্নীতি বেশি হচ্ছে। এখানে নিয়োগেও রয়েছে ভয়াবহ দুর্নীতি।

তিনি বলেন, এলজিআরডি মন্ত্রীকে এসব বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে টিম গঠন করে সরকারি অর্থ সাশ্রয়ে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করেছি।

দুদক কমিশনার বলেন, ৪০ কোটি লিটার পানির জন্য নারায়ণগঞ্জে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল। প্রকল্পটি ২০১৮ তে সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এখনও এই প্রকল্প শেষ হয়নি। এতে খরচ বেড়েছে অনেক। এ প্রকল্পের জন্য সরকারের কাছে আরো বরাদ্ধ চাওয়া হয়েছে। এছাড়া ৩ হাজার ৫০৮ কোটি টাকার পদ্মা যশোদিয়া পানি প্রকল্পেরও একই অবস্থা। এটাও শেষ হয়নি নির্ধারিত সময়ে। এতেও অনেক খরচ বেড়েছে।


এমএএম/একেএস/টিএফ

 

 

 

 

এমএএম/একেএস

আরও পড়ুন