• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০১৯, ০৮:৫২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৮, ২০১৯, ০৮:৫২ পিএম

শেষ হলো ডিসি সম্মেলন 

মাদক সন্ত্রাস নির্মূলের পাশাপাশি সুশাসন প্রতিষ্ঠার নির্দেশ 

মাদক সন্ত্রাস নির্মূলের পাশাপাশি সুশাসন প্রতিষ্ঠার নির্দেশ 

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম জেলা প্রশাসক সম্মেলন শেষ হয়েছে। টানা ৫ দিনব্যাপী চলা এ সম্মেলনে মাদক, সন্ত্রাস, শিশু-নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও জঙ্গিবাদ নির্মূলের পাশাপাশি সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ডিসিদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 

সম্মেলনে সাধারণ মানুষের দোড় গোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার তাগিদ দেয়া হয়েছে।সম্মেলনের ২৯টি কার্য অধিবেশনে ৩৩৩টি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ৩১ নির্দেশনা। ডিসি সম্মেলন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। 
  
প্রতি বছর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) সরকারের নীত-নির্ধারণী বিষয়, মাঠ প্রশাসনে শৃঙ্খলা, উন্নয়ন কর্মসূচি ও অন্যান্য প্রাধিকার সম্পর্কে অবহিত করতে ডিসি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৪ জুলাই (রোববার) শুরু হওয়া এই ডিসি সম্মেলন উদ্বোধনের পর ৬৪ জেলার ডিসিরা তাদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে। প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয়ে তাদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেন। এই দিন দুপুরের পর থেকে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভা কক্ষে শুরু হয় সম্মেলনের কার্য অধিবেশন। কার্য অধিবেশনগুলোয় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। 

এবারের ডিসি সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি এবং জাতীয় সংসদের স্পিকারের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের সৌজন্য সাক্ষাৎ পর্ব ছাড়াও কার্য অধিবেশনে বৈঠকের জন্য প্রথমবারের মত প্রধান বিচারপতি, দুদক চেরারম্যান এবং তিন বাহিনী প্রধানদের যুক্ত করা হয়। এসব বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ অনেক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

৫ দিনব্যাপী চলা এ সম্মেলনে মাদক, সন্ত্রাস, শিশু-নারী নির্যাতন, ধর্ষণ ও জঙ্গিবাদ নির্মূলের পাশাপাশি মাঠ প্রশাসনে সুশাসন প্রতিষ্ঠার নির্দেশ দেয়া হয় ডিসিদের। প্রশাসনের সর্বস্তরে সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতিও চাওয়া হয়। একইসঙ্গে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে গতিশীলতা বাড়ানোর ওপরও তাগিদ দেয়া হয় বৈঠকে।সরকারের নির্বাচনী অঙ্গিকার বাস্তবায়নেও সহযোগিতা চাওয়া হয় ডিসিদের।  

সম্মেলনে ডিসিদের দেশের শতভাগ সম্পদ জনকল্যাণের ব্যবহারের বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেয়া হয়। একইসঙ্গে সরকারের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সচেতন থেকে এ সব প্রকল্প বাস্তবায়নে সক্রিয় সহযোগিতার নির্দেশ দেয়া হয়। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় ও সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে শতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। 

বৈঠক সূত্র জানায়, সরকারি সেবা নেয়ায় ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ যেন কোনোভাবেই হয়রানি বা বঞ্চনার শিকার না হন, সেদিকে লক্ষ্য রাখার পরামর্শ দেয়া হয় ডিসিদের। এছাড়া তৃণমূল-পর্যায়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করা, গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার পরামর্শ দেয়া হয়। 

সূত্র আরো জানায়, সম্মেলনে সরকারের জন-গুরুত্বপূর্ণ এসব প্রস্তাবনায় ডিসিরা সক্রিয় থেকে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে অঙ্গিকার করেন। তারা প্রধানমন্ত্রীর ৩১টি নির্দেশনা বাস্তবায়নেও  প্রতিশ্রুতি দেন।

এমএএম/বিএস