• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৯, ২০১৯, ১০:১৮ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২০, ২০১৯, ০৯:০৪ পিএম

মানবতাবিরোধী অপরাধ: পলাতকদের ব্যাপারে ঢিমেতালে পুলিশ

মানবতাবিরোধী অপরাধ: পলাতকদের ব্যাপারে ঢিমেতালে পুলিশ

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার ১৩৫ আসামি বর্তমানেও পলাতক রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে মোট ৪৬টি মামলা রয়েছে। এসব আসামিদের ৩৮ জনের বিরুদ্ধে এরইমধ্যে দণ্ড ঘোষণা করেছেন আদালত। ৮৫ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। আর বাকি ১২ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করছে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। পলাতক আসামির সংখ্যা ক্রমে বাড়তে থাকলেও তাদের গ্রেফতারে নেই কোনো সফল উদ্যোগ। এক কথায় ঢিমেতালে চলছে পুলিশ।    

পলাতক  আসামিদের গ্রেফতারের বিষয়ে সমন্বয় করার জন্য পুলিশ সদর দপ্তরের একটি কমিটি আছে। ওই কমিটির প্রতিনিধিত্ব করেন সংস্থার উপ-পরিচালক মো. হেলাল উদ্দিন। জানতে চাইলে দৈনিক জাগরণকে তিনি বলেন, ‘পুলিশ সদর দপ্তরে ডিআইজি (প্রশাসন) এই কমিটির  নেতৃত্বে দেন। আগে প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর এই কমিটির বৈঠক হতো। আজকাল (ইদানিং) তা হচ্ছে না। তবে আসামিদের গ্রেফতারে নেয়া পদক্ষেপ বিষয়ে তারা সময়ে সময়ে চিঠি দিয়ে আমাদের সর্বশেষ অবস্থা অবহিত করছে।'
 
এদিকে এ বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এসব চিঠি একই রকম গঁতবাধা। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পাঠানো, চলতি ২০১৯ সালের জুন ও এপ্রিল অথবা গত বছর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর ও নভেম্বর মাসে পাঠানো অন্তত এই চারটি চিঠির বার্তা প্রায় একই। পলাতক আসামিদের ধরার বিষয়ে নেয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে সবগুলো চিঠিতেই প্রথমে লেখা হয়েছে, ‘পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে তাদের অবস্থান শনাক্তকরণের জন্য ম্যানুয়াল প্রচেষ্টার সঙ্গে ডিজিটাল টেকনোলজি ব্যবহার করা হচ্ছে। এছাড়াও পুলিশের কিছু বিশেষায়িত ইউনিট কর্তৃকও আসামি গ্রেফতারের প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, বিদেশে পালিয়ে থাকা  মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনে ইন্টারপোলের সহযোগিতা নেয়ার নির্দেশ দেয়া আছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের।

এর আগেও একাধিকবার পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে নির্দেশ এলেও তেমন কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।

জানা গেছে, পুলিশ সদর দপ্তরের ওই কমিটির দেয়া এক চিঠিতে তদন্ত সংস্থাকে  বলা হয়, ডিআইজি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ২০১৮ সালের মে  মাসে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতি ৪০ দিন পরপর তারা পলাতক আসামিদের বিষয়ে প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করবেন।  ডিআইজি ছাড়াও একজন অতিরিক্ত ডিআইজি, র‌্যাব, গোয়েন্দা পুলিশ ও তদন্ত সংস্থার একজন করে প্রতিনিধি রয়েছেন এ কমিটিতে। তবে এ যাবত পলাতক আসামি গ্রেফতারের উদাহরণ তৈরি করতে পারেনি তারা।

এমএ/বিএস