• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২০, ২০১৯, ০২:৪৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২০, ২০১৯, ০২:৫৩ এএম

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রিয়ার মিথ্যাচার

ব্যারিস্টার সুমনের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার প্রস্তুতি 

ব্যারিস্টার সুমনের রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার প্রস্তুতি 
বাঁ থেকে- ব্যারিস্টার সুমন এবং ট্রাম্পের সঙ্গে আলাপরত প্রিয়া সাহা (লাল বৃত্ত চিহ্নিত)- ফাইল ফোটো

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে অবাঞ্চিত মিথ্যাচারের মাধ্যমে দেশের  ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করায় প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ব্যারিস্টার সুমন।গতকাল শুক্রবার (১৯ জুলাই) মধ্যরাতে নিজের ভ্যারিফাইড ফেসবুক লাইভে বিষয়টি নিশ্চিত করেন স্বয়ং ব্যারিস্টার সুমন।তার ভাষ্য মতে, আগামীকাল (রোববার, ২০ জুলাই) প্রিয়া সাহার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন তিনি।

ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহা বাংলাদেশ প্রসঙ্গে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে যা সুস্পষ্টত রাষ্ট্রদ্রোহীতার শামিল। তাই তিনি তার বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।একই সঙ্গে প্রিয়া সাহার এই বক্তব্যকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র বলেও উল্লেখ করেন সুমন।

ব্যারিস্টার সুমনের বক্তব্যের বরাতে পাওয়া তথ্যানুসারে জানা যায়, প্রিয়া সাহা বৈদেশিক অর্থে পরিচালিত একটি এনজিওর পরিচালক।


'আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি।সেখানে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানসহ প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ জন সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বী নিখোঁজ হয়ে গেছেন। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই। এখনো সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু মানুষ রয়েছে।আমার অনুরোধ, দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশ ত্যাগ করতে চাই না। আমাদের দেশে থাকতে সাহায্য করুন।'- প্রিয়া সাহা

প্রসঙ্গত,গত ১৬ জুলাই বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের শিকার জনগোষ্ঠিগুলোর প্রতিনিধিবৃন্দের একটি দল হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।তাদের মাঝে উপস্থিত এই এনজিও পরিচালক বাংলাদেশী নাগরিক প্রিয়া রায়।উপস্থিত প্রতিনিধিবৃন্দ পর্যায়ক্রমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে মত বিনিময় করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সমূহের প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অবগত অরতে গিয়ে প্রিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি।সেখানে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানসহ প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ জন সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বী নিখোঁজ হয়ে গেছেন। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশে থাকতে চাই। এখনো সেখানে ১ কোটি ৮০ লাখ সংখ্যালঘু মানুষ রয়েছে।আমার অনুরোধ, দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন। আমরা আমাদের দেশ ত্যাগ করতে চাই না। আমাদের দেশে থাকতে সাহায্য করুন।

তিনি আরো বলেন, আমি আমার বাড়ি হারিয়েছি। তারা আমার বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। তারা আমার জমি কেড়ে নিয়েছে। কিন্তু এখনো এর কোনো বিচার পাইনি।

উল্লেখ্য, উক্ত মত বিনিময় অনুষ্ঠানে রোহিঙ্গা ইস্যুতে এক প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশ রাষ্ট্রটিকে চিনতেই পারেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।সেক্ষেত্রে অচেনা রাষ্ট্রের এই নাগরিকের অভিযোগ করার প্রাসঙ্গিকতাই বা কিভাবে এলো তা এখন অনেকের কাছেই প্রশ্ন। 

আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে একের পর এক অর্জনে সারা বিশ্বের কাছে একটি অনুসরনীয় আদর্শ হয়ে ওঠা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রসঙ্গে প্রিয়া সাহার এমন অবাঞ্চিত মন্তব্যের জেরেই তার বিরুদ্ধে কঠিন আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের ব্যাপারে ব্যারিস্টার সুমনের এমন তৎপরতা এরইমধ্যে সাধারণ মানুষের সমর্থন পেতে শুরু করেছে বলেও শোনা যাচ্ছে।

এইচএম/এসকে

আরও পড়ুন