• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২২, ২০১৯, ০৭:০২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২২, ২০১৯, ০৭:০৩ পিএম

বেতন-ভাতার দাবিতে বিআরটিসির চেয়াম্যান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ 

বেতন-ভাতার দাবিতে বিআরটিসির চেয়াম্যান কার্যালয়ে অবরুদ্ধ 

বিআরটিসির চেয়ারম্যান ফরিদ আহমদ ভূঁইয়াকে বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে শতাধিক পরিবহন শ্রমিক। সোমবার (২২ জুলাই) সকালে রাজধানীর দিলকুশা এলাকায় পরিবহন ভবনের প্রধান গেইটে তালা দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। ওই ভবনের চতুর্থ তলায় বিআরটিসির চেয়ারম্যানের কার্যালয়। জানা গেছে, চেয়ারম্যানকে ভেতরে রেখে গেইট তালা লাগানোর পর ভবনের সামনে থাকা চেয়ারম্যানের গাড়ির চাকার হাওয়া ছেড়ে দেন বিক্ষোভকারীরা। বেলা ২টার পর গাড়িটি সেখান থেকে সরানো হলেও ভবনের গেইটে তখনও তালা ঝুলছিল।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সারাদেশে বিআরটিসির ২২টি ডিপোর সাড়ে চার হাজার চালক, হেলপার, টেকনিশিয়ান, অফিস সহকারী এবং নিরাপত্তারক্ষী যারা সরকারি বেতন স্কেলে তারা তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। তাদের কারও ১৩ মাস, কারও ১৭ মাসের টাকা বকেয়া। পরিবার পরিজন নিয়ে তারা মানবেতন জীবন-যাপন করছেন। চেয়ারম্যানের কার্যালয় থেকে গত আড়াই বছরে বার বার আশ্বাস দেয়া হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ করেন এই পরিবহন শ্রমিকরা। তাদের বিক্ষোভের মধ্যে বিআরটিসি সচিব নূর-ই-আলম দুপুরে পরিবহন ভবনের ভেতর থেকে গেইটের সামনে এসে শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে আশ্বাস দেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা তাতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

নূর-ই-আলম এ সময় শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বেতন বকেয়া থাকা অমানবিক। তবে আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। এসব বিবেচনা করে আপনাদের দাবি-দাওয়া অবশ্যই পূরণ করা হবে। কিন্তু এতেও সন্তুষ্ট হতে পারেন নি শ্রমিকরা। শ্রমিকদের অভিযোগ, অফিসাররা দুর্নীতি করে বড় বড় আয়োজন করে প্রোগ্রাম করে, খাবার ফেলে দেয়। এক একজন দুইটা পর্যন্ত গাড়ি ব্যবহার করে। আর আমরা খেতে পারি না। আমাদের বেতন দেয়া হয় না। এই বৈষম্য আর চলবে না।

বিআরটিসি সিবিএ-এর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, শ্রমিকরা যে দাবি করছে তা কোনোভাবে অযৌক্তি নয়। মুখের কথায় আর কোনো শ্রমিক মানতে চাইবে না। সচিবের উদ্দেশে তিনি বলেন, কত সময়ের মধ্যে বেতন-ভাতা পরিশোধ করা হবে তা আজকে একটা নির্দেশ দেন, তাহলেই সমস্যার সমাধানের পথে আসবে।

এএইচএস/টিএফ

আরও পড়ুন