• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুলাই ২৩, ২০১৯, ০৮:৪০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৩, ২০১৯, ০৮:৫২ এএম

তাজউদ্দীন আহমদের ৯৪তম জন্মবার্ষিকী আজ

তাজউদ্দীন আহমদের ৯৪তম জন্মবার্ষিকী আজ
তাজউদ্দীন আহমদ -ফাইল ছবি

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছায়াসঙ্গী এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গতাজ’ তাজউদ্দীন আহমদের ৯৪তম জন্মবার্ষিকী আজ (২৩ জুলাই)।

বাংলাদেশের রাজনীতিতে মেধা, দক্ষতা, যোগ্যতা, সততা ও আদর্শবাদের এক অনন্য প্রতীকের নাম তাজউদ্দীন আহমদ। ১৯২৫ সালের এই দিনে ঢাকার অদূরে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় দরদরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী যখন জাতির কাণ্ডারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গ্রেফতারের পর একতরফা হত্যাযজ্ঞ শুরু করে, তখন জেলবন্দি বঙ্গবন্ধুর পূর্বঘোষণা অনুসারে শুরু হয় বাঙালির সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্বে মূল দায়িত্ব অর্পিত হয় তাজউদ্দীন আহমদে ওপর। 

তিনি ১৯৭১ সালের চরম সংকটময় মুহূর্তে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে সফল ভূমিকা পালন। এরপর মাত্র ৯ মাসের মধ্যে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। শুধু তাই নয়, স্বাধীনতার পরপরই প্রিয় নেতার মুক্তির জন্য বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত তোলপাড় করে ফেলেন তিনি।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। ১৯৭৪ সালের ২৬ অক্টোবর তিনি মন্ত্রিসভা থেকে সরে যান।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ক্ষমতালোভী ঘাতকচক্র সহস্রাব্দের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যা করে। এর পরেই তাজউদ্দীন আহমদকে গৃহবন্দী করা হয়। পরে তিনি সহ জাতীয় ৪ নেতাকে জেলখানায় বন্দি করে রাখা হয়।

১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর, বন্দি থাকা অবস্থায় তাকে এবং অপর ৩ জাতীয় নেতাকে জেলখানার অভ্যন্তরেই নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করে ঘাতকচক্র। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ ও সার্বভৌমত্ব অর্জনের ইতিহাসে চির অম্লান হয়ে রবে জাতীয় নেতা তাজউদ্দীন আহমদের নাম।

 

এসকে/একেএস

আরও পড়ুন