• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০১৯, ০৪:৫৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৫, ২০১৯, ০৪:৫৩ পিএম

প্রশাসনের ওপর আস্থা নেই জনগণের : গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য

প্রশাসনের ওপর আস্থা নেই জনগণের : গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য
গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমাবেশ-ছবি : জাগরণ

সরকারের দুঃশাসন দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি অপশাসন ঘুষ লুটপাট অব্যবস্থাপনা দেশকে এক মারাত্মক অবস্থায় নিয়ে গেছে দাবি করে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যর নেতারা বলেছেন, জনগণ এখন আর প্রশাসনের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না।

যে কোনও নিরীহ মানুষও গণপিটুনির শিকার হতে পারে আশঙ্কা করে বাম নেতারা বলেন, নিরীহ মানুষ নিজের অজান্তেই মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির মুখোমুখি হয়ে যেতে পারেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাব সংলগ্ন সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাম নেতারা এসব কথা বলেন। দেশব্যাপী ছেলেধরা মিথ্যা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হওয়ার প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। 

গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য নেতারা বলেন, দেশে সামাজিক অস্থিরতা প্রবল রূপ ধারণ করেছে। পারিবারিক সামাজিক অবক্ষয়জনিত কারণে একের পর এক বীভৎস ঘটনার সাক্ষী হচ্ছে দেশ। হত্যা, ধর্ষণ, ইভটিজিং, আত্মহনন, গণপিটুনিতে মানুষ হত্যার মিছিলে বেরিয়ে পড়ছে সমাজের এবং নৈতিকতার বিপর্যয় এবং অধঃপতনের ভয়ানক চিত্র। প্রতিদিনই ঘটছে নানা অঘটন। সারাদেশে প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও খুন হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে এসব খুনের বেশিরভাগ ঘটছে পারিবারিক ও সামাজিক।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যর সমন্বয়ক ও কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদীর সাধারণ সম্পাদক ডা. এম এ সামাদ। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জোটের শীর্ষনেতা সাম্যবাদী দল (এমএল) সাধারণ সম্পাদক কমরেড হারুন চৌধুরী, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. সামছুল আলম, এসডিপির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম (বাবু), সাম্যবাদী দলের কেন্দ্রীয় নেতা আবু মাসুম, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা সিরাজুল ইসলাম মাষ্টার, এসডিপির কেন্দ্রীয় নেতা সজলসহ আরও অনেকে।

নেতৃবৃন্দ সারাদেশে বিশেষ করে নেত্রকোনা, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকার বাড্ডাসহ ছেলেধরা সন্দেহে গত কয়েক দিনে গণপিটুনিতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন।

তারা বলেন, বেশ কিছুদিন যাবৎ একটি মহল পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগবে- পরিকল্পিতভাবে এমন গুজব রটানো হচ্ছে। কিন্তু সরকার গুজব রটানোকারীদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই। এর দায়ভার সরকার কোনওভাবেই এড়াতে পারে না। সরকার নাগরিকের জান-মাল রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে, এরই মধ্যে যাহারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া হোক। প্রকৃতপক্ষে ছেলেধরা কি- না, তা নিশ্চিত হওয়ার আগেই গণপিটুনির শিকার হচ্ছে তারা। কাউকে সন্দেহ হলেই গণপিটুনির মাধ্যমে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, এমন ভয়ানক পরিস্থিতিতেও প্রশাসন সরকার নীরব, এ অবস্থায় মানুষ যাতে আইন নিজের হাতে তুলে না নেয় সেজন্য জনসচেতনতা বাড়াতে এখনই রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ করা উচিত। সারা দেশে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, গণপিটুনিতে অংশ নেয়া মানুষটিও মৃত্যুদণ্ডের সাজার মুখোমুখি হয়ে যেতে পারে আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার জন্য। যে কোনও মানুষকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা একটি সামাজিক অপরাধ। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া গর্হিত অপরাধ।

টিএস/এসএমএম

আরও পড়ুন