রাজধানীর অদূরে পূর্বাচলে ১৪২ তলা বিশিষ্ট আইকনিক টাওয়ার প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে সংসদের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। রোববার (২৮ জুলাই) সংসদ ভবনের কেবিনেট কক্ষে কমিটির চতুর্থ বৈঠকে এ সন্তুষ্টি প্রকাশ করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। বৈঠকে অংশ নেন কমিটির সদস্য বজলুল হক হারুন, মো. জিল্লুল হাকিম, আনোয়ারুল আশরাফ খান, সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন ও বেগম ফরিদা খানম। 

বৈঠকে জানানো হয়, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ১৯ নং সেক্টরের সেন্ট্রাল বিজনেস ডিস্ট্রিক্ট (সিবিডি) এলাকায় আইকনিক টাওয়ার নির্মাণ হবে। এর নির্মাণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রিলিমিনারি মাস্টার প্লান পর্যালোচনার জন্য একটি কারিগরি কমিটি গঠন প্রক্রিয়াধীন আছে। শিগগিরই প্রস্তাবিত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে লে-আউট প্লানসহ ডিটেইল ড্রয়িং-ডিজাইন চূড়ান্ত করা হবে।

কমিটির বৈঠকে সরকারি কর্মচারীদের আবাসন ব্যবস্থা ৮ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশে উন্নীতকরণের বিষয়েও আলোচনা করা হয়। বর্তমানে যেসব প্রকল্প চলমান আছে সেগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা শেষে বলা হয়, ঢাকা শহরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফ্ল্যাট সংখ্যা ৪০ শতাংশে উন্নীত করতে অতিরিক্ত ২৮ হাজার ১৩টি ফ্ল্যাট প্রয়োজন। এজন্য পুরনো ভবন ভেঙে পর্যায়ক্রমে বহুতল ভবন নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। 

কক্সবাজারে অবস্থিত হ্যাচারির দূষিত পানি পাইপের মাধ্যমে সমুদ্রে ফেলা ও আবাসিক হোটেলের টয়লেটের ময়লাসহ সকল আবর্জনা সাগরে ফেলার কারণে সমুদ্রের পানি দূষিত হওয়ার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে একযোগে কাজ করার জন্য যথাযথ নির্দেশনা দেয় সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এছাড়া, পূর্বাচল প্রকল্পে যে উন্মুক্ত জায়গা রাখা হয়েছিল সেগুলোয় পিপিপির ভিত্তিতে বহুতল ভবন নির্মাণ, শান্তিনগর-ঝিলমিল ফ্লাইওভার কাজের বাস্তব অগ্রগতি ও পূর্বাচল প্রকল্পে মাটির নিচ দিয়ে বৈদ্যুতিক ক্যাবল স্থাপনের বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। 

বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এইচএস/ এফসি