• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৮, ২০১৯, ০৭:৩৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৮, ২০১৯, ০৭:৩৪ পিএম

ডেঙ্গুর কোনো প্রতিশেধক নেই : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ডেঙ্গুর কোনো প্রতিশেধক নেই : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, ডেঙ্গুর প্রতিশেধক বলতে কিছু নেই। তথাকথিত কোনো হোমিও চিকিৎসক যদি ডেঙ্গুর প্রতিশেধকের কথা বলে থাকেন তাতে কান দেয়া মোটেই উচিত হবে না। কারণ আমাদের জানামতে ডেঙ্গুর কোনো প্রতিশেধক আবিষ্কার হয়নি।
 
রোববার (২৮ জুলাই) বিকালে রাজধানীর মগবাজারের নয়াটোলায় শিশুপার্ক উদ্বোধনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। 
 
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের চিকিৎসকরা অনেক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন । তারা কয়েক বছর ধরে ডেঙ্গুর চিকিৎসা করছেন। ভয়ের কোনো কারণ নেই। ডেঙ্গু হলে চিকিৎসক আছেন, চিকিৎসা হবে। ডেঙ্গুর জন্য কোনো ধরণের প্রতিশেধকের আশ্রয় না নেয়াটাই আমি মঙ্গলজনক মনে করি।
 
মগবাজার বিটিসিএল কলোনির জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবির প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র এখানে আছেন। তার সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। কলোনীর জলাবদ্ধতা কিভাবে দূর করা যায় তার একটা ব্যবস্থা আমরা সবাই মিলে করবো। বিটিসিএল, সিটি করপোরেশন অথবা সরকারি অন্য কোনো সংস্থা হোক এই সমস্যার সমাধান করা হবে।
 
নয়াটোলা র্যা ব অফিসের পাশে, শাহ সাহেব বাড়ি ও আমবাগান এলাকার জলাবদ্ধতার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, মেয়র ইতোমধ্যেই একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। আশা করি শিগগিরই এর সমাধান হয়ে যাবে।
   
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ঢাকা শহরের চেহারা আমরা পাল্টে দেব। আমাদের দুই মেয়র সেই লক্ষ্যে কাজ করছেন। 

তিনি জানান, ৩৫ ও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের ভবন সিটি করপোরেশন থেকে করে দেয়া হবে। স্থানীয় হাতিরঝিল ছাত্রলীগ নেতার দাবির প্রেক্ষিতে নয়াটোলা পার্কের মধ্যে ইনডোর খেলাধুলার জন্য জায়গা করে দেয়ার কথাও বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। আপনাদের যেসব দাবি এসব খুবই সামান্য। এগুলো সব পূরণ হয়ে যাবে। শুধু আপনারা ঐক্যবদ্ধ থেকে আপনাদের দাবিগুলো ন্যায়সঙ্গতভাবে উত্থাপন করবেন। তাহলেই সব বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। 
 
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি মাত্র ৪ মাস আগে এই সিটির দায়িত্ব নিয়েছি। আজকে এই পরিত্যক্ত পার্কটি আমরা শিশুদের জন্য নতুন করে নির্মাণ করে দিয়েছি। এই পার্ক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কাউন্সিলর ও এই এলাকার জনগণের।
  
ডেঙ্গু আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে মেয়র বলেন, এই ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। ডেঙ্গু মোকাবেলার জন্য প্রত্যেক বাড়িতে জমে থাকা পানি, টায়ার, ফুলের টব, এসির পানি, ফ্রিজের নীচের পাত্রের পানি পরিস্কার করতে হবে। সিটি করপোরেশনে ৫টা ফগিং মেশিন আছে। এগুলো দিয়ে দৈনিক সকালে ওষুধ দেয়া হয়। এখন থেকে আমরা প্রতিটি ওয়ার্ডে দুই বার ওষুধ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মশক কর্মীদের সহায়তা করার জন্য আমরা ২০জন করে লোক দিয়েছি। মশার ওষুধ ম্যানুয়াল পদ্ধতি থেকে দ্রুত মেকানিক্যাল পদ্ধতিতে নেয়ার চেষ্টা করছি। সিটি করপোরেশনের মাতৃসদন ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বিনামূল্যে ডেঙ্গুর রক্ত পরীক্ষা হবে বলেও জানান তিনি।
  
এলাকাবাসীকে মেয়র বলেন, আপনারা ওয়েব সাইটে দেখে নেবেন আপনার এলাকায় মশক কর্মীরা কখন ওষুধ দেবে। তাদের ফোন নম্বর ও সুপারভাইজারদের নম্বর ওয়েব সাইটে দিয়েছি। কোন গলিতে কখন ওষুধ দেবে সেটা আপনারা মনিটরিং করতে পারবেন। এছাড়া মশক ও পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ঠিকমতো কাজ করছে কি না তা দেখার জন্য আগামী সপ্তাহ থেকে সবাইকে জিপিআরএস পদ্ধতির আওতায় নিয়ে আসবো। এর মাধ্যমে আমরা দেখতে পারবো তার ঠিকভাবে কাজ করছে কি না।    
উত্তর সিটি মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা শহরের সকল ফুট ওভারব্রিজগুলোতে এসকেলেটর লাগিয়ে দেয়ার জন্য। যাতে পথচারীরা রাস্তা পারাপারে ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করে। শিগগিরই ঢাকা শহরের জন্য চার হাজার লাইট আসবে। আমি আজকে বলতে চাই সেই লাইট আসার সঙ্গে সঙ্গে আমি নয়াটোলার রাস্তায় প্রথম লাগাবো। 
  
এসময় মেয়র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পার্কের অভ্যন্তরে দুটি গাছের চারা রোপন করেন। পরে নয়াটোলা এলাকায় ডেঙ্গুর সচেতনতামুলক লিফলেট বিতরণ করেন। 
    
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোক্তার সরদার, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইঞ্জিনিয়ার তৈমুর রেজা খোকন, সংরক্ষিত নারী কাউন্সিল নাজমুন নাহার হেলেনসহ, স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নয়াটোলা এলাকার কয়েকটি স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

টিএস/বিএস 
 

আরও পড়ুন