• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ২৯, ২০১৯, ০৯:০১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৯, ২০১৯, ০৯:০১ পিএম

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত মিয়ানমার

রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত মিয়ানমার

বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমার। যদিও নির্যাতিত এই জনগোষ্ঠির সদস্যরা তাদের দেশে ফিরে গেলে তাদের উপর আবারও অত্যাচার চালানো হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে ঢাকা জানিয়েছে, প্রতিবেশী দেশটিকে তাদের রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য অবশ্যই তাদের এই নাগরিকদের আস্থা অর্জন করতে হবে। মিয়ানমারের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে ফিরে যাবার জন্য বুঝিয়ে শুনিয়ে রাজি করানোর চেষ্টা করতে দেখা গেছে।

মিয়ানমারের পররাষ্ট্র বিষয়ক স্থায়ী সচিব মিন্ত থু ঢাকায় এক নিউজ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আসলে আমি তাদেরকে (রোহিঙ্গাদের) বলেছি যে, তারা দেশে ফিরে যাবে কিনা তা ঠিক করার এখনই উপযুক্ত সময়। কারণ, আমরা তাদের প্রধান সমস্যাগুলোর সমাধান করেছি।’ তিনি মিয়ানমারের এই ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন। থু বলেন, ‘মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত। তবে, এটা তাদেরই ঠিক করতে হবে যে তারা ফিরে যেতে চায় কিনা। আমরা রোহিঙ্গা নেতৃবৃন্দ ও আমাদের প্রতিনিধি দলের মধ্যে আস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়েছি।’ তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপকালে তাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্বের এনভিসি কার্ড দেয়ার ব্যাপারে আলোচনা করা হয়।

যদিও বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব কামরুল আহসান বলেন, নাপিদোকে অবশ্যই রোহিঙ্গাদের এমন আস্থা অর্জন করতে হবে যেন তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ দেশে ফিরে যেতে রাজি হয়। যতদিন পর্যন্ত তাদের মধ্যে এই আস্থা তৈরি না হবে তারা তাদের দেশে ফিরে যাবে না। আমরা (বাংলাদেশ) কাউকে জোরপূর্বক ফেরত পাঠাব না।’

মিয়ানমারের ১৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গত দুই দিন রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে। এ সময় তারা রাখাইনের হিন্দু বাসিন্দাদের অবস্থাও পরিদর্শন করে। সংখ্যাগুরু মুসলিমদের সাথে তাদেরকেও জোরপূর্বক দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়। এটি মিয়ানমার প্রতিনিধিদলের রোহিঙ্গা শিবিরে তৃতীয় পরিদর্শন। কিন্তু এবার তাদের সঙ্গে আসিয়ান এর পাঁচ পরিদর্শকও ছিল। তবে, সংবাদকর্মীদের তাদের সঙ্গে যেতে দেয়া হয়নি।

রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথিশালা মেঘনায় দু’দেশের সচিবগণ প্রায় দু’ঘন্টা বৈঠক শেষে যৌথ বিবৃতি দেন। মিয়ানমার ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি বাংলাদেশের সঙ্গে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তির আওতায় রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়। কিন্তু মিয়ানমারের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট পদক্ষেপ গৃহীত না হওয়ায় এবং অনিশ্চয়তা ও অনিরাপত্তাজনিত কারণে রোহিঙ্গাদের ফিরে যেতে অস্বীকৃতির কারণে সেটি খুব বেশিদূর অগ্রসর হতে পারেনি। এর আগে গত বছরের ১৫ নভেম্বর রোহিঙ্গাদের প্রথম দলটির প্রত্যাবাসনের কথা ছিল, কিন্তু তারা সেখানকার বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ভীত হয়ে ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানায়।

সূত্র : বাসস

এসজেড

আরও পড়ুন