• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০১৯, ০৬:৩২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৩, ২০১৯, ০৬:৩২ পিএম

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পরমাণু শক্তি কমিশনের ‘এসআইটি’ পদ্ধতির উদ্ভাবন

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পরমাণু শক্তি কমিশনের ‘এসআইটি’ পদ্ধতির উদ্ভাবন
এসআইটি পদ্ধতির কারিগরি দিক পরিদর্শন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান  -  ছবি : জাগরণ

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে পরমাণু শক্তি কমিশন স্টেরাইল ইনসেক্ট টেকনিক (এসআইটি) নামে নতুন একটি পদ্ধতির উদ্ভাবন করেছে। এই পদ্ধতি শিগগিরই মাঠপর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

শনিবার (৩ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশের পরমাণু শক্তি কমিশনের সাভারস্থ পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ড. স্বপন কুমার চক্রবর্তী প্রেরিত এক প্রেস রিলিজে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের খাদ্য ও বিকিরণ জীববিজ্ঞান ইন্সটিটিউটের কিট জীবপ্রযুক্তি বিভাগের বিজ্ঞানীরা ডেঙ্গু বিস্তারকারী এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে এসআইটি নামের একটি কার্যকরী পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন বলে জানানো  হয়েছে।

পরে শনিবার সকালে ওই পদ্ধতির কারিগরি দিক পরিদর্শন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। এ সময় তিনি উদ্ভাবিত পদ্ধতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে তিনি স্টেরাইল ইনসেক্ট টেকনিক (এসআইটি) পদ্ধতিটি শিগগিরই মাঠপর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।

এ সময় উদ্ভাবনের কাজে অংশ নেয়া বিজ্ঞানীরা মন্ত্রীকে জানান, ডেঙ্গু নিরসনে স্টেরাইল ইনসেক্ট টেকনিকটির (এসআইটি) প্রয়োগিক বিষয়ে গবেষণা কার্যক্রম ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এই পদ্ধতিতে পুরুষজাতীয় এডিস মশাকে গামা রশ্মি প্রয়োগের মাধ্যমে বন্ধ্যাকরণ করা হয়। ওই মশা ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব রয়েছে এমন এলাকায় অবমুক্ত করা হলে তা প্রকৃতিতে বিদ্যমান স্ত্রী এডিস মশার সাথে মিলিত হয় এবং এতে ওই স্ত্রীজাতীয় এডিস মশার ডিম/লার্ভা নিষিক্ত না হওয়ায় মশার পরিমাণ দিন দিন হ্রাস পেতে থাকে।

ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এটি একটি কার্যকর এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদ্ধতি। পাশাপাশি এটি পরিবেশবান্ধব পদ্ধতি বলে জানান বিজ্ঞানীরা। তাই পরিবেশের ওপর এর কোনো বিরূপ প্রভাব পড়ে না। এই পদ্ধতিতে শুধু বন্ধ্যা পুরুষ মশাই প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হবে। যেহেতু পুরুষ মশা ডেঙ্গুর জীবাণু বহনে অক্ষম, তাই এর মাধ্যমে ডেঙ্গুর বিস্তার ঘটার কোনো আশঙ্কা নেই। পুরুষ এডিস মশা মানুষকে কামড়ায় না। কাজেই কমিশনের এসআইটি পদ্ধতিটি দেশে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে জানান বিজ্ঞানীরা।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কমিশনের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক, সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. সানোয়ার হোসেন, পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক ড. এম আজিজুল হক, এনআইবির মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহ, এইআরইর বিভিন্ন ইন্সটিটিউটের পরিচালকসহ বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী কর্মকর্তারা।

এনআই

আরও পড়ুন