• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০১৯, ০১:৫৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৮, ২০১৯, ০২:৩৩ পিএম

অবরুদ্ধ কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘের গভীর উদ্বেগ

অবরুদ্ধ কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘের গভীর উদ্বেগ

 

ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ উপত্যকায় ‌‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের সম্ভাবনা’ বাড়িয়ে তুলেছে। গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার বিশেষ মুখপাত্র রুপার্ট কলভিল কাশ্মীরে টেলিযোগাযোগে নিষেধাজ্ঞা, নেতাদের নির্বিচারে আটকে রাখা এবং রাজনৈতিক সমাবেশে নিষেধাজ্ঞার কথা তুলে ধরেন।

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের পক্ষে এক বিবৃতিতে রুপার্ট বলেন, রোববার থেকে কাশ্মীরে নেতাদের আটক রাখা, টেলিকমিউনিকেশন ব্যবস্থা বন্ধ রাখা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের ওপরে নিষেধাজ্ঞায় তারা উদ্বিগ্ন। মানবাধিকার পরিষদের মুখপাত্রের কথায়, ‘ওই অঞ্চল থেকে প্রায় কোনও তথ্যই বাইরে আসছে না। এটাই যথেষ্ট উদ্বেগের।’ ভারত কাশ্মীরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদাকে ছিনিয়ে নেয়ার সাথে সাথে নিরাপত্তার নামে কাশ্মীরকে বন্দি করে রেখেছে।

টুইটারে পোস্ট করা ভিডিও বিবৃতিতে, মুখপাত্র কাশ্মীরের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে জুলাইয়ের ৮ তারিখে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করেছেন। ‘এই দলিলে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ভারত সরকার কীভাবে বারবার কাশ্মীরের যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ করছে, রাজনৈতিক নেতাদের আটক করে রাখছে, জনসমাবেশ নিষিদ্ধ করছে, বিনাবিচারে কাশ্মীরিদের হত্যা করছে এবং অতিমাত্রায় সেনা মোতায়েন করছে।’

জাতিসংঘ কাশ্মীরে বর্তমান পরিস্থিতিকে অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছে। যোগাযোগে নিষেধাজ্ঞা ও নেতাদের অবরুদ্ধ রাখার ব্যাপারে ভারতকে সতর্ক করেছে। গত ৫ই আগস্ট হিন্দুত্ববাদী মোদী সরকার জম্মু-কাশ্মীরকে স্বায়ত্তশাসন দেয়া ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের ঘোষণা দেয়। ১৯৪৮ সালে গৃহীত প্রস্তাব মেনে কাশ্মীরে হস্তক্ষেপ করতে জাতিসংঘের কাছে বারবার আবেদন করেছে পাকিস্তান। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা লোপের পরে ফের পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেসকে চিঠি লিখেছেন। তবে, ভারত জাতিসংঘের গৃহীত প্রস্তাব ভেঙে‌ছে কি না সেই প্রশ্নের জবাবে মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখছি। মহাসচিব সব পক্ষকেই সংযত হতে বলেছেন। আপাতত এটুকুই বলতে পারি।’ কুরেশির চিঠি পেয়েছেন কি না তা এখনও স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র।

সূত্র : বিবিসি, ইউএনএইচআরসি

এসজেড

 

 

আরও পড়ুন