• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০১৯, ১২:০৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১১, ২০১৯, ০২:৫৯ পিএম

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়, যাত্রীদের টিকিট ফেরত

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়, যাত্রীদের টিকিট ফেরত
কমলাপুর স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় যাত্রীরা - ছবি : কাশেম হারুন

ঈদের একদিন আগেও শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে ট্রেন। রাজধানীর কমলাপুর থেকে প্রায় প্রতিটি ট্রেনই নির্ধারিত সময়ের ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা পরে স্টেশন ছাড়ছে। সবচেয়ে বেশি শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে উত্তরবঙ্গের ট্রেনগুলো। সূচি বিপর্যয়ের কারণে সকালের রংপুর এক্সপ্রেস ও লালমনি এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস চালানো হবে বিকল্প আরেকটি ট্রেন দিয়ে। দুপুর ১টার পর সেটি কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা। 

উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি ট্রেন ১২ থেকে ২০ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ছে। আর এমন চললে রোববারের (১১ আগস্ট) নির্ধারিত ট্রেনগুলোর যাত্রীরা ঈদের আগে বাড়ি পৌঁছতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। রেল সচিব বলেছেন, ট্রেনের এতবড় শিডিউল বিপর্যয় আর কখনও হয়নি। যাত্রীরা চাইলে টিকিট ফেরত নিতে পারে। 

ঢাকা থেকে চিলাহাটির উদ্দেশ্যে নীল সাগর এক্সপ্রেস কখন ছেড়ে যাবে তা এখনো জানে না স্টেশন কর্তৃপক্ষ। প্রায় একই অবস্থা ঢাকা-রাজশাহী রুটের ধূমকেতু এক্সপ্রেসের। সকাল ৬টায় কমলাপুর ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এখনো রাজশাহী থেকেই যাত্রা করেনি ট্রেনটি। প্রায় ১০ ঘণ্টা দেরিতে আজ রাত ১১টা ২০ মিনিটে রাজশাহী থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবে ট্রেনটি। এর মধ্যে ধূমকেতু এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, পদ্মা এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের অসংখ্য যাত্রী টিকিট ফেরত দিয়েছেন।

ঢাকা থেকে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি এখনো কমলাপুরেই আসেনি। প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টা দেরিতে ট্রেনটি খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করে ভোর ৩টা ৪৫ মিনিটে। আর বিলম্ব না হলে ঢাকা থেকে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে সুন্দরবনের।

তবে কিছু ট্রেন পূর্ব নির্ধারিত সময়ের স্বল্প বিলম্বে কমলাপুর থেকে ছেড়ে যায়। সকাল পৌনে ৭টায় প্রায় আধা ঘণ্টা দেরিতে সিলেটের উদ্দেশে ছেড়ে যায় পারাবত এক্সপ্রেস। ৭টা ২ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায় সোনারবাংলা এক্সপ্রেস। দেওয়ানগঞ্জগামী ভোর ৫টার ট্রেন ৫টা ৪৪ মিনিটে ছেড়ে যায় কমলাপুর থেকে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) মো. শামসুজ্জামান দৈনিক জাগরণকে বলেন, একই রুটে অনেকগুলো ট্রেন চলছে। একটি আরেকটিকে ‘ক্রসিং’ দিতে গিয়ে সময় বেশি লাগছে। অন্যদিকে ট্রেনে যাত্রী বেশি থাকায় সেগুলো তুলনামূলক ধীরে চলছে। এসব কারণেই ট্রেনগুলো দেরি পৌঁছচ্ছে, ফলে ছাড়ছেও দেরিতে। তবে যাত্রীরা চাইলে টিকিট ফেরত দিয়ে টাকা নিয়ে যেতে পারবেন।

এদিকে, ঈদযাত্রায় রোববার সকাল থেকেও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে রয়েছে তীব্র যানজট। টাঙ্গাইলের পাকুল্লা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত রয়েছে ৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট। ফলে মহাসড়কটির এই অংশে যানবাহন চলছে ধীর গতিতে। এতে বিপাকে পড়েছে ঈদে ঘরমুখো মানুষ। বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর থেকে হাটিকুমরুল পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে রয়েছে যানজট। সেখানেও ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। তবে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

এছাড়া ঈদে ঘরমুখো বাড়তি যাত্রী ও গাড়ির চাপে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানবাহন চলছে থেমে থেমে। রাজবাড়ির দৌলতদিয়া ঘাটে তেমন চাপ নেই যানবাহনের।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সারা দেশে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নেই হয়েছে। তবে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দুর্ভোগের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

টিএইচ/ এফসি

আরও পড়ুন