• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০১৯, ১১:০৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৩, ২০১৯, ১১:০৩ এএম

কারাবন্দিরা পাচ্ছেন বালিশ-মশারি

কারাবন্দিরা পাচ্ছেন বালিশ-মশারি
ঈদের ৩টি জামাত ও বিশেষ খাবার 
কাশিমপুরে বন্দিরা পেয়েছেন লুঙ্গি শাড়ী কসমেটিক্স

কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় ৪টি কারাগারসহ সারাদেশের কারাগারে বন্দির মাঝে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। পাশাপাশি কারাগার হাসপাতালসহ সব ভবন ও ওয়ার্ডে সকল বন্দির জন্য দেয়া হয়েছে বালিশ ও মশারি। ডেঙ্গুর আগ্রাসনে মানুষের মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় কারা প্রশাসনের আলোচনার পরই এ ব্যবস্থা নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। 

কারা সূত্র জানায়, বন্দিদের ঘরের অনুভূতি দেয়ার জন্য গতকাল সোমবার সকাল ৭টায় তাদের স্ব স্ব সেলে মুড়ি, পায়েস আর সেমাই পাঠানো হয়। এরপর সকাল ৮টায় কারাগারের ভেতরের ময়দানে ঈদুল আজহার একমাত্র জামাতে অংশ নেন কারাবন্দিরা। একে একে ১ ঘণ্টা পর পর ২টি জামাত অনুষ্ঠিত হয় কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।  

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল হোসেন জানান, এবার সাড়ে ১১ হাজার কারাবন্দির জন্য ৩ হাজার ৩০০ কেজি কোরবানির গরুর মাংসের ব্যবস্থা করেছে কারা কর্তৃপক্ষ।  রাতের বিশেষ আয়োজনে বন্দিদের সরবরাহ করা হয়েছে পোলাও, কোরবানির গরুর মাংস (যারা গরুর মাংস খান না তাদের জন্য খাসির মাংস) ডিম, মিষ্টান্ন এবং পান-সুপারি। রাতের খাবারের পর তাদের জন্য মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছে। 

কারা সূত্র জানায়, ঈদ উপলক্ষে গাজীপুরসহ দেশের অন্যান্য কারাগারে বন্দিও মাঝে একই নিয়মে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও বন্দির সঙ্গে স্বজনদের সাক্ষাতের ক্ষেত্রে শিথিল করা হয়েছে। বন্দিরা কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে সাক্ষাৎ, বাসায় রান্না করা খাবার ও ব্যবসহারিক সামগ্রী পেয়েছেন।  

গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কারাগারের জেলার বলেন, ঈদুল আযহায় কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের বন্দিদের বিভিন্ন কসমেটিক্স সরবরাহ করা হয়েছে। পাশাপাশি পুরুষদের মধ্যে গরীব ও দুঃস্থ বন্দিদের মাঝে ৪শ লুঙ্গি দেয়া হয়। 
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারের সুপার শাহজাহান আহমেদ জানান, মহিলা কারাগারে ৮৪০ জন বন্দি রয়েছেন। এখানে পুলিশ কর্মকর্তা হত্যা মামলার আসামি তার মেয়ে ঐশীসহ বন্দিদের ৬৯ জন সন্তানও রয়েছে। এছাড়া এই কারাগারে ১৩ জন ফাঁসির আসামি ও অর্ধশতাধিক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রয়েছেন। স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় এ কারাগারের প্রত্যেক নারী বন্দিকে লিপস্টিক, মেহেদী, টিপ, সাবান ও লোশন দেয়া হয়েছে। এখানে বন্দিদের জন্য আলাদাভাবে তিনটি ঈদের জামাতের আয়োজন করা হয়েছে। 

গাজীপুরে চারটি কারাগারের বন্দিদের প্রতিবারের মতো এবারও বিশেষ খাবার  দেয়া হয়েছে। সকালের নাস্তায় পায়েস ও মুড়ি, দুপুরে আলুর দম, রুইমাছ ভাজা, ডিম ও সাদা ভাত এবং রাতে পোলাও-মাংস, সালাদ, মিষ্টি, পান-সুপারী ও কোমল পানীয় খেয়েছেন বন্দিরা। 

এইচ এম/ এফসি

আরও পড়ুন