• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০১৯, ০৫:০৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৪, ২০১৯, ০৫:০৫ পিএম

শোক দিবসে রাজধানীতে সুনির্দিষ্ট হুমকি নেই : ডিএমপি কমিশনার

শোক দিবসে রাজধানীতে সুনির্দিষ্ট হুমকি নেই : ডিএমপি কমিশনার
মো. আছাদুজ্জামান মিয়া - ফাইল ছবি

জাতীয় শোক দিবসের নিরাপত্তায় সুনির্দিষ্ট কোনো হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেছেন, শোক দিবসে রাজধানীজুড়ে দৃশ্যমান এবং অদৃশ্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

ধানমণ্ডি ৩২ কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ১৫ আগস্ট ঘিরে ডিএমপির পক্ষ থেকে ব্যাপক সমন্বিত সুদৃঢ় নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেয়া হয়েছে। ৩২ নম্বর ও আশপাশের এলাকায় একাধিক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। প্রবেশ পথে আর্চওয়ের মধ্য দিয়ে তল্লাশির মাধ্যমে সবাইকে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে হবে।

তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট ঘিরে সুস্পষ্ট কোনো হুমকি নেই। তারপরেও আমরা কোনো আশঙ্কাই উড়িয়ে দিচ্ছি না। একটি স্বার্থান্বেষী মহল সেই ১৯৭১ সাল থেকেই সক্রিয়। অতীতেও সেই স্বার্থান্বেষী মহলের অপতৎপরতা আমরা কঠোরভাবে দমন করেছি। নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই। সারা শহরে দৃশ্যমান এবং অদৃশ্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ধানমণ্ডি ৩২ ও বনানী কবরস্থান এলাকা পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের মাধ্যমে সুইপিং করা হয়েছে। ডিএমপি ও র‌্যাবের ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমেও সুইপিং করা হয়। ৩২ নম্বরে পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো রিয়েল টাইম মনিটরিং করা হচ্ছে। 
গত বছর ১৫ আগস্ট শোক দিবসের প্রাক্কালে ধানমণ্ডি ৩২ সংলগ্ন হোটেল ওলিওতে একটি জঙ্গি তৎপরতা নস্যাৎ করে দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে। এ পর্যন্ত আমরা ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি, যার মধ্যে ১০ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তাদের পরিকল্পনা ছিল শোক দিবসের অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা। 

তিনি জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ব্লকরেইড চলছে। গতকালও দুই হাজার পুলিশ সদস্যের সমন্বয়ে আগারগাঁও, ধানমণ্ডি, হাজারীবাগ এলাকায় ব্লকরেইড চালানো হয়েছে। রাজধানীজুড়ে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ডিএমপি কমিশনার জানান, সকাল সাড়ে ৬টায় রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পুস্পার্ঘ্য অর্পণের পর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হচ্ছে। জনসাধারণ রাসেল স্কয়ার হয়ে প্রবেশ করে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে পশ্চিম পাশ দিয়ে বের হয়ে যাবেন। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির সামনে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কেউ সেলফি তুলে সময় নষ্ট না করে নিজে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষ করে অন্যকে শ্রদ্ধা নিবেদনের সুযোগ করে দিতেও সকলের প্রতি অনুরোধ জানান ডিএমপি কমিশনার।

শ্রদ্ধা নিবেদনে আসার সময় কেউ হ্যান্ডব্যাগ, ভ্যানিটিব্যাগ, ব্যাকপ্যাক, দাহ্য পদার্থ, ছুরি-কাঁচি বহন করতে পারবেন না। চারপাশ দিয়ে প্রবেশের সময় তল্লাশি করা হবে, আবার অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশের সময় আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে যেতে হবে। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় বিশেষ নিরাপত্তা সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।

জাতীয় শোক দিবসে রাজধানীর বিভিন্ন মহল্লায় কাঙালি ভোজের আয়োজন করা হবে। সেসব স্থানের নিরাপত্তায় সিসিটিভি বসানো হয়েছে, প্রয়োজনে আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে। অনুষ্ঠানে যেকোনো ত্রুটি এবং নাশকতা এড়াতে আয়োজকদের সঙ্গে সমন্বয় করে পুলিশ কাজ করবে।

শোক দিবসের দিনভিভিআইপি মুভমেন্টের সময় সোনারগাঁও ক্রসিং থেকে রাসেল স্কয়ার, ধানমণ্ডি ২৭ থেকে রাসেল স্কয়ার, সিটি কলেজ থেকে রাসেল স্কয়ারে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।         

এইচ এম/ এফসি

আরও পড়ুন