• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০১৯, ০৩:৫৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৯, ২০১৯, ০৬:২৩ পিএম

জাতীয় স্কুল মিল নীতি ২০১৯ মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

জাতীয় স্কুল মিল নীতি ২০১৯  মন্ত্রিসভায় অনুমোদন
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম-ছবি : জাগরণ

শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়া রোধে সারাদেশে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুরে রান্না করা খাবার সরবরাহ করার লক্ষ্যে ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি ২০১৯’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

একই সাথে প্রতিবন্ধীদের জন্য যত্রতত্র নিম্নমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী (এনডিডি) সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা ২০১৯ এর অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।  

সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

এর আগে সকাল ১০ টায় প্রধানমন্ত্রীর তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, চাঁদপুর জেলায় একটি বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘চাঁদপুর বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১৯’ এর অনুমোদন দেয়া হয়েছে মন্ত্রিসভায়। ‘মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন ২০১৯, বাংলাদেশ প্রকৌশল গবেষণা কাউন্সিল আইন ২০১৮ এর বিধানাবলি সার্বিকভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তা পুনর্গঠনের লক্ষ্যে মন্ত্রিসভা কর্তৃপক্ষকে ইতোপূর্বে গঠিত কমিটি পুনর্গঠনের প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

শফিউল আলম বলেন, প্রতিবন্ধীদের জন্য যত্রতত্র নিম্নমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার বিষয়টি মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা জয়।পরে মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে ‘নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী (এনডিডি) সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা ২০১৯ এর অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। 

তিনি জানান, এই নীতিমালা অনুযায়ী কমপক্ষে ৭৫ জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী হলে একটি প্রতিবন্ধী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যাবে। এ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রতি পাঁচজন শিক্ষার্থীর জন্য একজন শিক্ষক নিয়োগ করা যাবে। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিষ্ঠার জন্য নির্ধারিত কমিটির মাধ্যমে যাচাই শেষে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে হবে।

শফিউল আলম জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার বিষয়টিও আলোচনায় গুরুত্ব পায় মন্ত্রিসভায়র বৈঠকে।শিক্ষার্থীদের প্রাথমিকে উৎসাহিত করতে সারা দেশের প্রাথমিক স্কুলে ২০২৩ সালের মধ্যে সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে দুপুরে রান্না করা খাবার পরিবেশনের বিষয়টি চুড়ান্ত করতে ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি ২০১৯’ এর খসড়ার চুড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, পরীক্ষামূলকভাবে দেশের ১০৪টি উপজেলার ১৫ হাজার ৩৪৯টি বিদ্যালয়ে দুুপুরে খাবার দেয়া হচ্ছে।এর মধ্যে তিনটি উপজেলায় রান্না করা খাবার দেয়া হচ্ছে। বাকিগুলোতে বিস্কুট দেয়া হয়। সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রায় ৬৬ হাজার। তিনি বলেন, সারা দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫ দিন রান্না করা খাবার এবং ১ দিন বিস্কুট পরিবেশন করলে বছরে খরচ হবে ৫ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা। প্রাথমিকে এখন শিক্ষার্থী সংখ্যা ১ কোটি ৪০ লাখ।

দুপুরে খাবার পরিবেশন করা হলে ১১ ভাগ শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

এমএএম/এসএমএম