• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০১৯, ০৮:৫৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২১, ২০১৯, ০৮:৫৬ পিএম

মিল্ক ভিটার জমি বেহাত, কার তথ্য সঠিক?

মিল্ক ভিটার জমি বেহাত, কার তথ্য সঠিক?

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বরাদ্দ দেয়া মিল্ক ভিটার ৫ হাজার একর জমির ৪ হাজার একরই বেহাত হয়েছে- সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এ দাবির প্রেক্ষিতে মিল্ক ভিটার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, বেহাত হয়েছে ১৬শ একর জমি। ২৪শ একর বেশি বলা হয়েছে।  

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে আ স ম ফিরোজ সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডকে (মিল্ক ভিটা) ৫ হাজার একর জমি বরাদ্দ দেন। বেহাত হতে হতে এখন মিল্ক ভিটার হাতে এক হাজার একরের মতো জমি আছে। মিল্ক ভিটার কিছু কর্মকর্তার যোগসাজশে বিভিন্ন সময়ে অসাধু লোকজন জমি বরাদ্দ দিয়ে দখল করেছে। অনেক ক্ষেত্রে ভুয়া কাগজ দেখিয়ে জমি দখল করেছে। এসব জমি উদ্ধারে মিল্ক ভিটা কখনও আইনি লড়াইয়ে যায়নি। বৈঠকে মিল্ক ভিটার চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু উপস্থিত না থাকায় অসন্তোষ প্রকাশ করে কমিটি।

বিষয়টি নিয়ে মিল্ক ভিটার চেয়ারম্যান শেখ নাদির হোসেন লিপু আজ বুধবার (২১ আগস্ট) সচিবালয়ে দৈনিক জাগরণকে বলেন, ‘সংসদীয় কমিটির প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, মিল্ক ভিটার জমি বেহাত হওয়ার বিষয়ে তাদের দেয়া তথ্যে কোথাও ভুল হয়েছে। কারণ ৫ হাজার একর জমির ৪ হাজার একর বেদখল হয়েছে বলে যে তথ্য তাদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমে এসেছে, তা সঠিক নয়। প্রকৃত সত্য হচ্ছে ১৬শ একর জমি বেদখল হয়েছে। আমিই প্রথম চেয়রম্যান হওয়ার পর এই জমি উদ্ধারে মামলা করেছি।’

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা কেউই কোনো তথ্য দিতে পারেননি। জমি বেহাত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে বলেন, তাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। সমবায় অধিদপ্তর থেকে তা জানতে পরামর্শ দেন তারা।

এমএএম/ এফসি

আরও পড়ুন